চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি সময়ের দাবী

এখনকার বাড়তি মূল্যের বাজারে একজন মানুষ যদি সকালের নাস্তা ঘরেও করেন তাতেও ন্যূনতম খরচ ৩০ থেকে ৪০ টাকা। এই নাস্তায় যে খুব বেশি মেন্যু থাকে তা নয়। হিসাবে যদি সাধারণত ঘরে বানানো দুটো আটার রুটি, তরকারি আর চা ধরা হলেও সর্বনিম্ন খরচ এটি। আমি একজন আইনজীবী। সকালে নাস্তার খরচের সাথে কোর্টে আসা যাওয়ার খরচ যোগ হয় আরও ১৮০ টাকার মতো। যাওয়ার সময় সিএনজি দ্রুত যাওয়ার জন্য। আসার সময়ে লোকাল বাস বা টেম্পু। যারা চাকরি করেন তাদেরও প্রায় একই খরচ হয় অফিসে আসা যাওয়ার জন্য। এর সাথে আমার চেম্বার খরচ গড়ে ১০০ টাকা পত্রিকা, চায়ের বিল ইত্যাদি মিলে।…

স্বাধীনতার ৫০ বছর: আমাদের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি

২৫ মার্চ, ২০২১। আমাদের মহান মুক্তি সংগ্রামের সুবর্ণজয়ন্তী। রক্তসাগর পাড়ি দেয়ার ৫০তম বার্ষিকীতে পদার্পণ করলো আমাদের প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। আজ থেকে ঠিক ৫০ বছর আগে আজকের এই ২৫ মার্চ এর কালরাতে এক নৃশংস গণহত্যার শিকার হয়েছিল বাঙালি। এর আগে থেকেই দুই হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে আবারো মুক্তির নেশায় পাগল হয়ে উঠেছিল বাঙালি জাতি। রাজারবাগ, পিলখানা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম প্রতিরোধেই জ্বালিয়ে দিয়েছিল স্বাধীনতার অগ্নিমশাল। সেদিন রাতে সারা জাতির রক্তরোদন দেখেই আহমেদ ছফা বলে উঠেছিলেন: ‘রক্তভেজা অন্ধকারে থমকে দাঁড়ায়…

জ্বলছে দিল্লি, অগ্নিগর্ভ ভারত

জ্বলছে দিল্লি। অগ্নিগর্ভ ভারত। কিন্তু এমনতো হওয়ার কথা ছিলো না। পাকিস্তানের মতো সাম্প্রদায়িক 'one country two nation' থিউরির উপরে দাঁড়িয়ে ভারতের জন্ম হয়নি। ভারতের জন্ম হয়েছিলো স্যাকুলারিজমের উপরে ভিত্তি করে। যেখানে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই পাবেন সম অধিকার। ভারতে সাংবিধানিকভাবেই যে অধিকার স্বীকৃত। যে অধিকারের কথা বলা হয়েছে বিশ্বকবি রচিত ভারতের জাতীয় সংগীতেও।  'জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে ভারতভাগ্যবিধাতা! পঞ্জাব সিন্ধু গুজরাট মরাঠা দ্রাবিড় উৎকল বঙ্গ বিন্ধ্য হিমাচল যমুনা গঙ্গা উচ্ছলজলধিতরঙ্গ তব শুভ নামে জাগে, তব শুভ আশিস…

যেসব কারণে ঐক্যফ্রন্টের শোচনীয় পরাজয়

বিএনপি নেতারা শুধুমাত্র কারচুপির অভিযোগ করে যতই আত্মতৃপ্তিতে ভোগেন না কেন নির্বাচনে ‘বাংলাওয়াশ’ হওয়ার পেছনে তাদের নিজেদের ব্যর্থতাই ছিলো সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং প্রত্যেকটি সেক্টরেই they were simply outplayed. শুরু থেকেই এই নির্বাচনকে তারা সিরিয়াসলি ‘ভোটযুদ্ধ’ হিসেবে নেননি। তাদের মনোনীত প্রার্থীদের গা ছাড়া ভাব নেতাকর্মীদের মাঝে পারেনি কোনো উদ্দীপনা সৃষ্টি করতে। এছাড়া কাজ করেছে আরো কিছু অবিমৃষ্যকারী সিদ্ধান্ত নেয়ার বোকামীটুকুও। যেমন- ১. জামায়াত নির্ভরশীলতা দেশজুড়ে অসংখ্যবার আলোচনা সমালোচনার মুখোমুখি…

ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের আমলনামা

১. একাত্তর টিভিতে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের মাসুদা ভাট্টি আপাকে নিয়ে অশ্লীল কটূক্তি। ফলশ্রুতিতে দেশজুড়ে অনলাইনে অফলাইনে নিন্দার ঝড়। মাঝখানে তসলিমা ম্যাডামের পুরনো ক্ষোভের উদগীরণ। যার ফলে আবারো বিভক্তি। পরিশেষে মইনুল সাবের "রেহনা পারেগা সেন্ট্রাল জেলে" সংগীত পরিবেশন এর মাধ্যমে সার্কাসের যবনিকাপত। What a show indeed!!! ২. হঠাৎই এদেশের রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে আবির্ভাব "যুক্তফ্রন্ট " নামের ডঃ কামাল স্যারের নেতৃত্বে আরেকটি কমেডি ক্লাবের। আর মূলত: এই "কমেডি ক্লাব" টিকে নিয়েই আমার এই যৎকিঞ্চিত অরণ্যে রোদনের প্রচেষ্টা। প্রথমেই আসি…

নদী ও নারীর প্রতি সেই সুর ফের শোনা গেল হালদা’য়

‘তোমার কোন বাধন নাই, তুমি ঘরছাড়া যে তাই, এই আছো ভাটায় আবার এইতো দেখি জোয়ারে।’ একদিন বাংলাগানের কিংবদন্তী হেমন্ত মুখোপাধ্যায় এভাবেই নিবেদন করেছিলেন তার প্রিয় নদীটির প্রতি হৃদয়ের সুষুপ্ত ভালোবাসার শ্রদ্ধার্ঘ্য “নীল আকাশের নীচে” (নায়করাজ রাজ্জাক অভিনীতটি নয়) ছবিতে। আর নদী ও নারীর প্রতি সেই সুরের সিম্ফনি ফের শোনা গেলো তৌকির আহমেদ এর শিল্পীত চিত্রায়ণে সেলুলয়েডের ফিতায়। হুম, ঠিকই ধরেছেন, তৌকির আহমেদের “হালদা”র কথাই লিখতে বসলাম। অভিনেতা তৌকির আমার কাছে যতটা প্রিয় ছিলেন এবং আছেন, পরিচালক তৌকির তার চেয়ে অনেক বেশী মুগ্ধতার সৃষ্টি…

৭ নভেম্বর নিয়ে জাসদের বিভ্রান্ত বিপ্লবের জটিল সমীকরণ

আর কদিন পরেই ৭ই নভেম্বর। এ দেশের ইতিহাসের কলঙ্কজনক একটি দিন। বিপথগামী সেনা সদস্যদের হাতে সেদিন নির্মমভাবে নিহত হত মুক্তিযুদ্ধের তিন কিংবদন্তী মুক্তিযোদ্ধা।  “কে” ফোর্সের খালেদ মোশাররফ, ক্র্যাক প্লাটুনের স্বপ্নদ্রষ্টা মেজর হায়দার, আর আগড়তলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামী কর্নেল হুদা। দশম বেঙ্গল রেজিমেন্টের সদর দপ্তরে অবস্থানকালে সকালে তাদের একেবারে কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করে দুজন কোম্পনি কমান্ডার আসাদ এবং জলিল। যারা ছিলো কর্নেল তাহেরের “বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা” র সদস্য। শুধু এই তিনজনকেই নয়, সাংবাদিক অ্যান্থনি ম্যাসকারেনহ্যাস এ ব্যাপারে…

ধর্ষণের মহামারী

ধর্ষণ আজ এক মহামারীর নাম বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে। ৬ বছরের শিশু থেকে শুরু করে ৬০ বছরের বৃদ্ধাও রেহাই পাচ্ছেন না ধর্ষণের হাত থেকে। নিজের জন্মদাতা পিতা, সৎ পিতা, শিক্ষক, নিকটাত্মীয় কারো হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না ভিকটিমরা। কর্মক্ষেত্রে, চলন্ত বাসে, এমনকি নিজের ঘরে পর্যন্ত নেই নিরাপত্তা। এ যেন এক অন্তবিহীন ঘূর্ণিঝড়ের করাল থাবা। অতৃপ্ত যৌন আকাঙ্খা, দেয়ালে নগ্ন পোস্টার, যৌন উত্তেজক অবৈধ বইয়ের রমরমা ব্যবসা, অশ্লীল পত্রপত্রিকা, অশ্লীল ছায়াছবি প্রদর্শন, ব্লু-ফিল্ম, পর্নোগ্রাফি, চলচ্চিত্রে নারীকে ধর্ষণের দৃশ্যের মাধ্যমে সমাজে…

যার ডাকে গড়ে উঠেছিল দুর্গ

"আমি হিমালয় দেখিনি। শেখ মুজিবকে দেখেছি" বলেছিলেন কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রো। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শারীরিক ভাবেও ছিলেন বিশালাকায় । গড় বাঙালিদের চেয়ে ছিলেন বেশী উচ্চতার। আর তাঁর প্রবল ব্যক্তিত্ব ছিল হিমালয়ের চেয়েও বিশাল। যে ব্যক্তিত্বের সামনে মাথা নত করতে হয়েছিল প্রবল প্রতাপশালী পাক জেনারেলদের। এমনকি ১৫ আগস্ট যখন হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে হামলা চালানো হয় , সেদিন প্রথম তাঁর মুখোমুখি হওয়া মেজর মহিউদ্দিনকে বলেছিলেন, --- কি চাস তোরা? কোথায় নিয়ে যেতে চাস আমাকে? তখন মহিউদ্দিন তাঁর চোখের দিকে সরাসরি…

বাম ঐক্য: আরেকটি রাজনৈতিক কমেডি?

দেশের রাজনীতিতে দ্বি-দলীয় বলয়ের বাইরে গিয়ে "মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন পূরণ " করার ডাক দিয়েছে কিছু বাম সংগঠন। ভালো কথা। অবশ্যই সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। দ্বি-দলীয় শাসনব্যবস্থার বাইরে বিকল্প শক্তি গড়ে তোলার নামে আরো কয়েকটি জোট গঠনের চেষ্টা আমরা অতীতেও দেখেছি। দেখেছি "বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট " "বিকল্প ধারা, “এলডিপি” , নাগরিক ঐক্য গণফোরাম জোট" "জাতীয় পার্টি আর চরমোনাইয়ের জোট" "ওয়ান ইলেভেনের কিংস পার্টি" আরো অনেক কিছু। কিন্তু এসব জোট রাজনৈতিকভাবে পরিবর্তন আনতে ব্যর্থ হয়। উপরন্তু এর কোনো কোন নেতা অবতীর্ণ হন স্রেফ পলিটিক্যাল কমেডিয়ান…