ভয়াবহ জঙ্গি আতঙ্কে আতঙ্কিত সারাদেশ। চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা, টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া সর্বত্র বিরাজ করছে চাপা আতঙ্ক। প্রতি মূহূর্তে আশংকা নতুন কোনো রক্তাক্ত ম্যাসাকারের প্রত্যক্ষদর্শী হওয়ার। কিন্তু কি এই জঙ্গিবাদ? কিভাবে তা ঘাঁটি গেড়ে বসেছে আমাদের মাতৃভূমির মাটিতে? ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাসের মত এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে।
কোল্ড ওয়ারের সময়ে সোভিয়েত ব্যাকড আফগান কমিউনিস্টপন্থী নজিবুল্লাহ সরকার মার্কিনীদের যথেষ্ট মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বিভিন্নভাবে তাকে উৎখাতের জন্য একের পরে এক প্রচেষ্টা যখন ব্যর্থ হয়, তখন সিআইএ ব্যবহার করে তার ব্রহ্মাস্ত্র। তারা ভালমতই জানতো ধর্মীয় ব্যাপারে এই সম্প্রদায়ের মধ্যে রয়েছে জিরো টলারেন্স নীতি।
নিজেরা ধর্মীয় বিধিবিধান তেমন অক্ষরে অক্ষরে পালন না করলেও স্বীয় ধর্মমতের মর্যাদা রক্ষা করতে তারা থাকেন সর্বদা সদাসতর্ক। তারা ভালমতই জানতেন কিভাবে ‘লরেন্স অফ এরাবিয়া’র মাধ্যমে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ব্রিটিশরা ভেঙে চুরমার করে দিয়েছিল তুরস্কের অটোমান এম্পায়ার।এই কারণেই ধর্ম নামক ব্রহ্মাস্ত্রটি ব্যবহার করে তারা। সুকৌশলে ছড়িয়ে দেয়া হয় যেহেতু ‘কমিউনিস্টরা নাস্তিক’ সেহেতু তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ আসলে ‘জিহাদ’ বা ধর্মযুদ্ধ। যা তাদের জন্য একটি অবশ্যকর্তব্য !!
বিস্ময়কর ফল প্রদান করলো এই কৌশলটি। সারা বিশ্ব থেকে দলে দলে কট্টরপন্থীরা এসে ‘জিহাদে’ সামিল হন আফগানিস্তানে। পরেরটুকু ইতিহাস। সোভিয়েত ইউনিয়নের মতো পরাশক্তিকেও হার মানতে হয় এই কূটকৌশলের সামনে। মার্কিন অস্ত্র আর রসদে বলীয়ান হয়ে জিহাদে ঝাঁপিয়ে পড়ে বিজয়ের দেখা পায় বিরোধী এলায়েন্স। উৎখাত হয় নজিবুল্লাহ সরকার। বিভিন্ন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ‘ওয়ারলর্ড’রা নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটায়োরা করে নেয় আফগানিস্তান।
আফগান যুদ্ধে অংশ নিতে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যারা ছুটে গিয়েছিল, তাদেরকে দেয়া হয় কঠিন প্রশিক্ষণ। বিভিন্ন ধরণের অস্ত্র প্রশিক্ষণের পাশাপাশি, জিহাদী ক্যাম্পগুলোতে ‘পলিটিকাল ইসলাম’ হিসেবে পরিচিত ‘ওহাবী’ মতবাদের ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়। বাংলাদেশ থেকেও কয়েকহাজার ‘মুজাহিদ’ অংশ নেয় আফগান যুদ্ধে। যুদ্ধ শেষে যাদের অধিকাংশই ফেরত আসেন। আর সঙ্গে করে নিয়ে আসেন তাদের জিহাদী মতাদর্শও।
দেশে ফিরেই তারা প্রাণপণে শুরু করেন কওমী মাদ্রাসা বিস্তারের কাজ। পেট্রোডলারের বদৌলতে রাতারাতি ফুলে ফেঁপে ওঠা মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটা দেশ হয়ে ওঠে তাদের স্পন্সর। বিরামহীন মতো আসতে থাকে টাকা। ফলে খুব কম সময়ের মধ্যেই তারা শক্ত নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে সারা দেশে। আফগানিস্তান ক্রাইসিসের সময়ে এরাই প্রকাশ্যে স্লোগান তোলে ‘আমরা সবাই তালেবান, বাংলা হবে আফগান’; কিন্তু ভোটের রাজনীতির হিসাবে মত্ত আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো এদের ব্যাপারে দেখেও না দেখার ভান করে গেছে সচেতনভাবে। ফলে ক্রমশঃ বিষবৃক্ষ পরিণত হয় মহীরুহে।
৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বিতর্কিত ভূমিকার জন্য এদেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। তখন রীতিমতো আত্মগোপনে চলে যায় তারা। কিন্তু ৭৫’র ১৫-ই আগস্ট স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরে তারা আবার প্রকাশ্যে বেরিয়ে আসে। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করার পরে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন এদের প্রতি। কেননা প্রো ৭১ রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থন পাওয়া তার পক্ষে সম্ভব ছিলো না।
ফলে ৭৮ সালে এদেশে পুনরায় রাজনীতি শুরুর লাইসেন্স পায় একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের সংগঠন জামায়াতে ইসলামী। রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েই তারা আদাজল খেয়ে নেমে পড়ে নিজেদের আসন সুসংহত করার কাজে। এ ক্ষেত্রে দুটি টেকনিক খুব বেশী কাজে আসে তাদের। একটি হল নিজেদের ছাত্রসংগঠন ছাত্রশিবিরের মাধ্যমে দেশের কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দখলদারিত্ব কায়েম করা। আরেকটি হল মানুষের ধর্মানুভূতিকে ব্যবহার করে দেশের আনাচেকানাচে ছড়িয়ে পড়া।
এমনকি যুদ্ধাপরাধীদের ফাসিঁর দাবিতে সোচ্চার অনেক মানুষকেই বলতে শোনা গেছে ‘রাজাকারদের ফাসিঁ চাই। তবে সাঈদী সাহেব লোক ভালো’ এমন কথাগুলোও। এতেই বোঝা যায় কতখানি ইনফ্লেট্রেশন ঘটেছিল এই একটি লোকের দ্বারা। যার প্রমাণ আবারো পাওয়া যায়, তাকে চাঁদে দেখা যাওয়ার গুজবকে কেন্দ্র করে সারাদেশে তার অনুসারীদের ভয়াবহ রিএকশান থেকে।
বাংলা ভাই থেকে শুরু করে ব্লগার হত্যা পর্যন্ত এ যাবতকালে ধরা পড়া জঙ্গিদের বেশিরভাগকেই দেখা গেছে যে, এরা জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে ছাত্রশিবিরের সঙ্গে জড়িত ছিল। পরে আদর্শিক দ্বন্দ্বের কারণে একসময় শিবিরের লাইন পরিত্যাগ করে জেএমবি বা হিযবুত তাহরীর মতো আরো উগ্রপন্থী দলগুলোতে যোগ দেয়।
একদিকে জামায়াত শিবির, আরেকদিকে এই আফগান ফেরত মুজাহিদদের মাধ্যমে ক্রমশঃ দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে জঙ্গিবাদী মতাদর্শ। বিগত জোট সরকারের সময়ে রাজশাহী অঞ্চলে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে বাংলা ভাই, শায়খ আব্দুর রহমানের জেএমবি বা ‘জাগ্রত মুসলিম জনতা’; দীর্ঘদিন ধরে ঐ অঞ্চলে নকশালপপন্থী চরম বামদের ত্রাসের রাজত্ব চালু থাকায় এদের উত্থানকে প্রথমদিকে বেশ স্বাগতই জানানো হয়।
কিন্তু ক্রমশঃ এদের বাড়াবাড়ির মাত্রা ধৈর্যের সীমা অতিক্রান্ত করলে সারা দেশেই প্রতিবাদ শুরু হয়। তৎকালীন সরকার প্রথমদিকে বিষয়টি ‘মিডিয়ার সৃষ্টি ’ বলে এড়িয়ে চলার নীতিতে থাকলেও ব্যাপক গণদাবীর মুখে তারা অবস্থান বদলাতে বাধ্য হন। এরই মধ্যে একযোগে দেশের ৬৩ টি জেলার বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে নিজেদের শক্তির জানান দেয় জঙ্গিরা। সেই সঙ্গে শুরু হয় গুপ্ত হত্যার মহামারী।
বোমা বিস্ফোরিত হয় রমনার বটমূলে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে, উদীচীর অনুষ্ঠানে। দেশের প্রচলিত বিচার ব্যবস্থার উপরেও চালানো হয় আক্রমণ। বোমা হামলায় প্রাণ হারান বিচারক সোহেল আহমদ আর জগন্নাথ পাড়ে। হত্যা করা হয় প্রথিতযশা সাংবাদিক মানিক সাহা আর হুমায়ূন কবির বালুকে। এমনকি তাদের বিপক্ষে মামলা পরিচালনা করায় জুমার নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বেরিয়ে আসার পথে হত্যা করা হয় ঝালকাঠি জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটরকে পর্যন্ত।
তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার সমাবেশ স্থলে বোমা পুঁতে রাখে কিছুদিন আগে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত জঙ্গি মুফতী হান্নান। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রাণান্তকর চেষ্টার ফলে বাংলা ভাই বাহিনী ধরা পড়া এবং বিচারে তাদের ফাসিঁ হওয়ার পরে নেটওয়ার্ক ভেঙে পড়ে জেএমবির। ফলে বেশ কিছুদিনের জন্য নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে তারা। কিন্তু ভেতরে ভেতরে আবারো নিতে থাকে প্রস্তুতি চরম আঘাত হানার জন্য।অনেকেই ঘাটি গাড়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। কথিত আছে যে, সেখানকার মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিতে সেখানে অভয়ারণ্য গড়ে তুলেছে তারা। যার প্রমাণ পাওয়া যায় সেখানকার বর্ধমানে বোমা বিস্ফোরণে কয়েকজন ওয়ান্টেড জঙ্গির মৃত্যুর মধ্য দিয়ে।
একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে সংগঠিত যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনাল গঠিত হলে বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্র শুরু হয়। বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রচারণা চলতে থাকে যে বিচারের নামে ইসলামিক নেতাদের জুডিশিয়াল কিলিং চলছে বাংলাদেশে। কাদের মোল্লার ফাসিঁর দাবীতে শাহবাগ আন্দোলন গড়ে উঠলে বিপাকে পড়ে যায় তারা। কোনমতেই শাহবাগের গণস্রোত যখন ঠেকানো যাচ্ছিল না, তখন আবারো একাত্তরের মতই ধর্মকে মোক্ষম অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে তারা। মাহমুদুর রহমানের ‘আমার দেশ’ পত্রিকা প্রপাগাণ্ডা চালায় যে, শাহবাগ আন্দোলন আসলে নাস্তিকদের আন্দোলন। এই একটি প্রচারণা অভাবনীয় ফল দেয়। রাতারাতি সংগঠিত হয় উগ্রপপন্থীরা হেফাজতে ইসলামের পতাকাতলে। কওমী মাদ্রাসান্দ্রি কেক এই চরম দক্ষিণপন্থী সংগঠনটির নেতৃস্থানীয় অনেকেই হলেন আফগান যুদ্ধ ফেরত মুজাহিদ , যারা প্রকাশ্যই ‘আমরা হব তালেবান, বাংলা হবে আফগান’ স্লোগান তুলেছিল রাজপথে।
এরই মাঝে শুরু হয়ে যায় ব্লগার কিলিং। অভিজিৎ রায় , অন্তত বিজয় , রাজীব হায়দারের মতো বেশ কয়েকজন তরুণ মুক্তমনা ব্লগারদের নৃশংসভাবে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। অবশ্য ভিন্নমতাবলম্বী লেখকদের উপরে হামলার ট্রেডিশন এদেশে অনেক পুরোনো। স্বাধীনতার পরপরই একটি কবিতা লেখার কারণে অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগ আনা হয় কবি দাউদ হায়দারের বিরুদ্ধে। প্রাণ বাচাঁতে দেশান্তরী হন তিনি। একইভাবে দেশান্তরী হন লেখিকা তসলিমা নাসরীন। বইমেলা হতে বাড়ি ফেরার পথে চাপাতি আক্রমণের শিকার হন প্রথাবিরোধী লেখক হুমায়ূন আজাদ; যা তাকে পরবর্তীতে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। চাপাতি আক্রমণ ক্রমশঃ বিস্তার লাভ করে। ব্লগারদের পাশাপাশি আক্রান্ত হন প্রকাশক, মন্দিরের পুরোহিত, গীর্জার পাদ্রি, বৌদ্ধ ভিক্ষু, সমকামী এক্টিভিস্ট, বিদেশী নাগরিক, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকসহ আরো অনেকেই। কিন্তু প্রশাসনের তরফ থেকে এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা এদের আরো সাহসী করে তোলে।
এরইমধ্যে সংগঠিত হয় গুলশান ম্যাসাকার। স্মরণকালের সবচেয়ে নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞ চালানো হয় হলি আর্টিজান রেস্তোরায়। প্রাণ হারান বিদেশী নাগরিক, পুলিশ কর্মকর্তা সহ প্রায় ২০/২৫ জন নিরীহ মানুষ। রক্তে লাল হয়ে যায় আর্টিজানের মেঝে। পরিস্থিতি এমনই জটিল হয়ে পড়ে যে সামাল দিতে সেনাবাহিনীর প্যারা কমাণ্ডো ইউনিট তলব করতে হয়। এই ঘটনায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় বয়ে যায়।
হলি আর্টিজান ম্যাসাকারের পরে টনক নড়ে প্রশাসনের। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হার্ডলাইনে যায় জঙ্গিদের বিরুদ্ধে। ঝটিকা অপারেশনে প্রাণ হারায় অনেক জঙ্গি। সাময়িকভাবে কিছুটা পিছিয়ে গেলেও ভেতরে ভেতরে আবারো সংগঠিত হতে থাকে তারা। সেই সঙ্গে চলতে থাকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতাও। দেশের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি আস্তানা হতে উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ, জেহাদী বই থেকে শুরু করে সেনাবাহিনীর পোশাক পর্যন্ত। গ্রেফতার করা হয় বেশকয়েকজনকে। বিশেষ করে সিলেট আর চট্টগ্রামে জঙ্গি তৎপরতার বিষয় গুলো ভাবিয়ে তোলে সর্বস্তরের সচেতন মানুষদের।
সবশেষে সিলেট আর মৌলভীবাজারে জঙ্গি ততপরতা ঠেকাতে গিয়ে উচ্চপদস্থ সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষ প্রাণ হারালে সারা দেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ষাটের দশকে আফগানিস্তানেও ঠিক একইভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল উগ্রপন্থা। যার বিষময় ফল যুগ যুগ ধরে বয়ে চলেছে আফগানিস্তান।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর হতেই অদ্যবধি এই দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন ভাবে কোলাটরাল ড্যামেজ সৃষ্টিতে তৎপরতা চালিয়েছে বিদেশী শক্তিগুলো। এরমধ্যে পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র সম্পৃক্ততা নিয়ে অসংখ্যবার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন পত্রপত্রিকাতে। আজো বন্ধ হয়নি সে ডার্টি গেইম। যার মাশুল দিচ্ছে বাংলাদেশের আপামর শান্তিপ্রিয় জনতা।
এখনো সময় আছে রুখে দাড়াবার। বুক চিতিয়ে বলার ‘আমার বাংলা, আমার মা, আফগানিস্তান হবে না।’. নচেৎ আরো ভয়াবহ মূল্য দিতে হতে পারে ভবিষ্যতের অনাগত সন্তানদেরকে। যেটার জন্য তাদের অভিসম্পাত আমাদের প্রজন্মকে তাড়া করে ফিরবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। সময় কিন্ত খুবই কম। গ্রহণের কাল সমাগত।
‘পূব আকাশে ঝড় উঠছে, ঘনিয়ে এসেছে রাতি’
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে)