চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ঢাকায় মুখে খাওয়ার কলেরা টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন

রাজধানীর প্রায় ২৪ লাখ মানুষকে ২৬ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত মুখে খাওয়ার কলেরার টিকা দেয়ার কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকার পাঁচটি এলাকায় টিকাদান কর্মসূচীর উদ্বোধন করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

রোববার আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) সাসাকাওয়া মিলনায়তনে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কলেরা টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।

আইসিডিডিআর,বি’র সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকার যাত্রাবাড়ী, দক্ষিণখান, সবুজবাগ, মোহাম্মদপুর এবং মিরপুর এলাকার এক বছর থেকে তদূর্ধ্ব বয়সীদেরকে ২ ডোজের এ মুখে খাওয়ার টিকা দেওয়া হবে। সাউথ কোরিয়ার ইউবায়োলোজিক্স কো. লিমিটেডের তৈরি ইউভিকল প্লাস নামের কলেরার টিকা কমপক্ষে ২ বার নিতে হবে।

এই টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত। গর্ভবতী মহিলা এবং যারা বিগত ১৪ দিনের মধ্যে অন্য কোনো টিকা গ্রহণ করেছে তারা ব্যতীত সবাই এই টিকা নিতে পারবেন। এই টিকা নেয়ার ১৪ দিনের মধ্যে অন্য কোনো টিকা নেয়া যাবে না।

মন্ত্রী জানান, পূর্বে যেসব এলাকায় কলেরার টিকা দেয়া হয়েছিল সেসব এলাকায় আমরা খুব ভালো ফল পেয়েছি। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে মানুষের জীবন রক্ষার একটা কার্যক্রম শুরু করতে পারছি। আমি আহ্বান জানাবো সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা যেন এই কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন এবং এ রোগ থেকে নিরাপদ থাকেন।

সাধারণত বাংলাদেশে এপ্রিল থেকে মে এবং আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর, বছরে এই দুই বার তীব্র ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এবছর ঢাকায় মার্চ থেকে মে পর্যন্ত ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বিগত যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক গুণ বেশি ছিল।

বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, আক্রান্তদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি রোগীর বসবাস ঢাকার যাত্রাবাড়ী, দক্ষিণখান, সবুজবাগ, মোহাম্মদপুর এবং মিরপুর এলাকায়। এসময়ে, কলেরায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ৩৪ শতাংশ পর্যন্ত উঠেছিল।

অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম, যেমন নিরাপদ পানির ব্যবহার, নিরাপদ পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা এবং ব্যক্তিগত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

২৬ জুন, রোববার থেকে ২ জুলাই, শনিবার পর্যন্ত সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রথম ডোজ কলেরা টিকাদান কর্মসূচি চলবে। যাত্রাবাড়ীর প্রায় ৫ লক্ষ, সবুজবাগের প্রায় ৪ লক্ষ ২০ হাজার, দক্ষিণখানের প্রায় ২ লক্ষ ৮০ হাজার, মিরপুরের প্রায় ৭ লক্ষ ৮০ হাজার এবং মোহাম্মদপুরের প্রায় ৪ লক্ষ অধিবাসীকে কলেরার টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে।