চট্টগ্রাম থেকে: দ্বিতীয় দিনের পড়ন্ত বিকেলে বলে দারুণ বাঁক পেলেন তাইজুল ইসলাম। তাতে বেশ বিভ্রান্ত হতে হল শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানদের। অল্পের জন্য পা হড়কাননি কুশল ও ধনঞ্জয়া। থিতু হয়ে যাওয়া দুই ব্যাটসম্যানকেই আউটের সুযোগ তৈরির সেই দৃশ্য মনে গেঁথে আছে দু’দলের খেলোয়াড়দের মাঝেই। চা-বিরতির পর তাইজুলের ঘূর্ণি উন্মোচন করেছে জহুর আহমেদের তিন নম্বর উইকেটের এখনও অনেক রহস্যই লুকায়িত আছে!
ম্যাচের সময় যত গড়াবে উইকেট হয়ে উঠবে ততটাই টার্নিং। সেটি মাথায় রেখেই চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে লিড পেতে মরিয়া দু’দল। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করা কঠিন হবে জেনেই প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার চ্যালেঞ্জ স্বাগতিক ও সফরকারীদের।
বাংলাদেশের করা ৫১৩ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে শ্রীলঙ্কা তুলেছে এক উইকেট হারিয়ে ১৮৭ রান। কুশল ১০৪ ও ধনঞ্জয়া অপরাজিত ৮৩ রানে। বাংলাদেশ এখনও ৩২৬ রানে এগিয়ে। কারা এগিয়ে কারাই-বা পিছিয়ে এখনই সেই বিশ্লেষণে যাওয়া কঠিন। অনেকটা সমান অবস্থানে থাকা দুদলের সামনে তৃতীয় দিনের ২২ গজে হবে এগিয়ে যাওয়ার আসল লড়াই।
বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা মুমিনুল হক মনে করেন তৃতীয় দিনের সকালের সেশনেই করতে হবে বাজিমাত, ‘লিড জরুরি। সবার কাছেই মনে হয়। কাল প্রথম সেশনে তিন-চারটা উইকেট বের করতে পারলেই লিডে চলে যাবে। বোলাররা জায়গা মতো বল করলেই সেটা সম্ভব। আমার ওই বিশ্বাস আছে। এখন একটু স্পিন হচ্ছে। শেষ স্পেলে তাইজুল ভাল করেছে, সানজামুলও ভাল বল করছে। আমার মনে হয় কালকে বেশি স্পিন ধরবে।’
প্রথম ইনিংসে এগিয়ে যাওয়া দল যে চট্টগ্রাম টেস্ট জয়ের দাবিদার হয়ে উঠবে সেটি টের পাচ্ছেন রঙ্গনা হেরাথও। চারশো উইকেট শিকারি অভিজ্ঞ এ শ্রীলঙ্কান স্পিনার বলে গেলেন, ‘চা-বিরতির পর উইকেট থেকে স্পিনাররা টার্ন পেয়েছে। লড়াইটা সমানে সমান হচ্ছে। যেকোনো পরিস্থিতি আসুক আমাদের পিছিয়ে থাকা রানটা করতে হবে।’
‘তারা পাঁচশ’র বেশি করেছে, আমরা ১৮০/১। আমরা তিনশ’র বেশি রানে পিছিয়ে। আমাদের আগে এটা করতে হবে। তারপর দেখা যাক উইকেটের আচরণ কেমন হয়। পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেবো আমরা কীভাবে আগাবো।’ যোগ করেন হেরাথ।