লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান (৩৫) ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব হোসেন ইমাম (২৫) কে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
নিহত যুবলীগ নেতা নোমান পবিত্র ওমরাহ সেরে সৌদী আরব থেকে গতকাল মঙ্গলবারই নিজ বাড়ীতে ফিরেছিলেন। অপরদিকে নিহত ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব হোসেন বসিক ইউপি ডিজিটাল উদ্যোক্তা ছিলেন।
জানা যায়, যুবলীগ নেতা নোমানকে সবুজ নামে একজন মোবাইল ফোনে ডেকে নেয়। আর একই দিন রাত পৌনে ১০টার দিকে জেলার সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পোদ্দার বাজারে ব্রিজের পশ্চিম এলাকায় তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
রাত ১১টার দিকে জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.আনোয়ার হোসেন যুবলীগ নেতা নোমানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নোমানকে মৃত অবস্থায় হাসাপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।
নোমানের মৃতদেহ সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
এছাড়া গুলিবিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রাকিবকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। রাকিবের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। তাদের দুইজনের মাথা এবং মুখে গুলির আঘাত রয়েছে।
রাতে ১২টার দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সৈয়দ মহিউদ্দিন আব্দুল আজিম সাবেক ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেন।
এ ঘটনায় বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম জেহাদীকে দায়ী করেছেন ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা নোমানের বড় ভাই মাহফুজুর রহমান।
ঘটনার প্রতিবাদ করে এবং অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবীতে রাতে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। রাতেই আওয়ামীলীগ সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ নিহতদের খোঁজ খবর নিতে হাসপাতালে ছুটে যান। তারা অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, ঘটনাস্থলে র্যাব, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। অপরাধীরা যেই হোক তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।