চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

নভেম্বরের পর করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ বন্ধ

মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে সারা দেশেই চলছে টিকা কার্যক্রম। তবে আগামী নভেম্বর মাস থেকে আর কোনো ব্যক্তিকে করোনা টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

এ সময়ের পর শুধুমাত্র বুস্টার বা তৃতীয় ডোজের জন্য উপযুক্ত ব্যক্তিরাই টিকা পাবেন।

মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানিয়েছেন করোনা টিকা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব শামসুল হক।

জানা গেছে, স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে এখনও প্রায় দেড় কোটি টিকা মজুত আছে। বিভিন্ন উৎস থেকে সংগ্রহ করা টিকার ব্যবহারের মেয়াদ নভেম্বরে শেষ হবে। তাই নভেম্বরের পর আর প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের টিকা ব্যবহার করা যাবে না।

করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরুর পর থেকে ১২ বছরের বেশি বয়সী ৩৩ লাখ মানুষ এখনো প্রথম ডোজ টিকা নেননি। এ ছাড়া প্রথম ডোজ পাওয়া ৯৪ লাখ মানুষ দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেননি।

মূলত চারটি উৎস থেকে এ পর্যন্ত ৩০ কোটির কিছু বেশি টিকা দেশে এসেছে। এর মধ্যে কিছু টিকা উপহার হিসেবে পাওয়া। একটি অংশ অনুদান হিসেবে কোভ্যাক্স থেকে পাওয়া। বাকি আরেকটি অংশ কোভ্যাক্সের মধ্যস্থতায় ভর্তুকি মূল্যে কেনা।

স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, দেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি ৩ লাখ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, দেশে জনসংখ্যার ৭৬ শতাংশ করোনার টিকার প্রথম ডোজ এবং ৭১ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছে। আর ২৩ শতাংশ পেয়েছে বুস্টার ডোজ।

অন্যদিকে, মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকাদান আগামী আগস্ট মাস থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শিশুদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। দেশে এই বয়সী শিশুদের সংখ্যা আছে ৪ কোটি ৪০ লাখ। এদের দেওয়ার জন্য ৪ কোটি ১০ লাখ টিকার নিশ্চয়তা স্বাস্থ্য বিভাগ পেয়েছে। শিশুদের দুই ডোজ করে টিকা দেয়া হবে। এর জন্য টিকার প্রয়োজন হবে ৮ কোটি ৮০ লাখ ডোজ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, দেশে জনসংখ্যার ৭৬ শতাংশ করোনার টিকার প্রথম ডোজ এবং ৭১ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছে। আর ২৩ শতাংশ পেয়েছে বুস্টার ডোজ।

করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০২২ সালের জুনের মধ্যে কোনো দেশের মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশকে পূর্ণ দুই ডোজ টিকার আওতায় আনার কথা বলেছিল। জুন মাস শেষ হওয়ার আগেই বাংলাদেশ সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে। তবে বুস্টার ডোজের জন্য ক্যাম্পেইন করা হলেও তেমন সারা মেলেনি।