চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

দলীয় ভিত্তিতে চাকরি বিক্রির চক্করে পড়ে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এখন আত্মঘাতী

কেউ যদি ভাবে সন্তানকে শিক্ষিত না করে তার জন্য বিপুল ধন-সম্পদ রেখে যাবে; সেটি একটি ভয়ংকর ভ্রান্তি। বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি এরকম বড় ভ্রান্তির মাঝে বসবাস করছে বলে মনে হয়। অর্থনৈতিক উন্নয়ন সূচকে এগিয়ে যাওয়া আর শিক্ষা-সাংস্কৃতিক সূচকে পিছিয়ে যাবার যে ক্রসরোডে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশ; সেখানে উন্নয়ন শব্দটি পুনর্ভাবনার মুখে পড়েছে। উন্নয়ন মানে একটি সুশৃংখল আলোকিত সমাজ-অবকাঠামো ও মনন। বাংলাদেশের ক্ষমতা কাঠামোটি উন্নয়নের সংজ্ঞায়নে একটি বড় রকমের ভুল করেছে। টাকা-পয়সা হলেই বাংলাদেশ বৈশ্বিক উন্নয়নের মহাসরণিতে পৌঁছে যাবে; এরকম আত্মতুষ্টি নিয়ে…

যেখানে গ্রাম ও শহরের পার্থক্য বিলীন

গ্রামীণ জীবনের নিখাদ সরলতার এক অনবদ্য সৌন্দর্য্য আছে। এমনকী গ্রাম্য পরিবেশে গালিগালাজ, হাতাহাতি, চুলোচুলি, গুজব নিয়ে লোফালুফি এসবের মাঝেও রয়েছে সাহজিক নান্দনিকতা। কিন্তু জীবনে যেহেতু স্পেস এবং টাইম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়; তাই মেট্রোপলিটানে ঐ গ্রাম্য সুন্দর বিষয়গুলো খুবই অসুন্দর দেখায়।ধরা যাক, গ্রামে কোনো কৃষক স্বামী সারাদিন রোদ মাথায় নিয়ে ক্ষেতে কাজ করে এসে খেতে বসে দেখলো খাবার পানি নেই; সে তখন উঠোন থেকে একটা চেলাকাঠ তুলে স্ত্রীকে আঘাত করলে কৃষক বধু ডুকরে কেঁদে ওঠে। সঙ্গে সঙ্গে পাড়া প্রতিবেশী ছুটে আসে। মানবিকতা নিয়েই তারা…

দূরে ঠেলে দেয়া সহজ; কাছে টেনে নেয়া কঠিন

ফেসবুক এসে ভালোই হলো; রূপকথার স্বচ্ছতোয়া পানিতে সন্তরণ শেষে থকথকে কাদায় নামাও হলো। ফেসবুকে এসেই প্রথম জানতে পারলাম আমি মুসলমান আর আমার বন্ধু তাপস হিন্দু। আরো জানা হলো আমি আর আমার বন্ধু সুপ্রিয় র্র‌লডক্লিফের নিষ্ঠুর কালোরেখার দু'পাশের প্রতিপক্ষ। অবশ্য তাতে আমার, তাপসের বা সুপ্রিয়র কিছু এসে যায় না। কিন্তু এই যে একটা সামান্য ক্রিকেট ম্যাচ নিয়ে ক্যাচাল; একটা মিউজিক্যাল কনসার্ট নিয়ে বুকের অলিন্দ-নিলয়গুলো ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলা; একটা মানসিক দাঙ্গার পরিপার্শ্ব; তাতে খুবই বিবমিষা জাগে। রাষ্ট্র ভারত ও রাষ্ট্র বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত…

সন্ত্রাসবাদের হেমলক সোসাইটি

অধিকাংশ তরুণ-তরুণীর প্রাথমিকভাবে ধর্মভিত্তিক কট্টরপন্থায় যুক্ত হবার কারণ কট্টরপন্থার সংগঠকরা সবসময় তাদের সঙ্গে খুব ভালো ব্যবহার করে এবং ধীরে ধীরে তাদের একটা মানসিক আশ্রয় হয়ে ওঠে। ফলে একপর্যায়ে ঐ তরুণ-তরুণীদের সন্ত্রাসী হামলা পরিচালনায় ব্যবহার করা সহজ হয় সন্ত্রাসবাদের হোতাদের।অন্যদিকে সেক্যুলার বাতিঘরেরা সেলিব্রেটি হবার নেশায় এতোই মাতোয়ারা থাকেন যে; তরুণ-তরুণীদের সঙ্গে একটু মনোযোগ দিয়ে কথা বলার সময় থাকে না তাদের। আর সময় দিলেও প্রতিভার ঠেলায় ‘অমুক বই পড়েছো’ ‘তমুক বই পড়েছো’ ‘তোমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না’ টাইপের আচরণ করে বসেন। ফলে…

সন্ত্রাসবাদের হেমলক সোসাইটি

অধিকাংশ তরুণ-তরুণীর প্রাথমিকভাবে ধর্মভিত্তিক কট্টরপন্থায় যুক্ত হবার কারণ কট্টরপন্থার সংগঠকরা সবসময় তাদের সঙ্গে খুব ভালো ব্যবহার করে এবং ধীরে ধীরে তাদের একটা মানসিক আশ্রয় হয়ে ওঠে। ফলে একপর্যায়ে ঐ তরুণ-তরুণীদের সন্ত্রাসী হামলা পরিচালনায় ব্যবহার করা সহজ হয় সন্ত্রাসবাদের হোতাদের।অন্যদিকে সেক্যুলার বাতিঘরেরা সেলিব্রেটি হবার নেশায় এতোই মাতোয়ারা থাকেন যে; তরুণ-তরুণীদের সঙ্গে একটু মনোযোগ দিয়ে কথা বলার সময় থাকে না তাদের। আর সময় দিলেও প্রতিভার ঠেলায় ‘অমুক বই পড়েছো’ ‘তমুক বই পড়েছো’ ‘তোমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না’ টাইপের আচরণ করে বসেন। ফলে…

চিন্তার জগতের আলোকায়নই ‘এলিটিজম’

আমরা প্রায়শই ‘এলিট সমাজ’ কথাটা ব্যবহার করি। বিষয়টি খুবই বিস্ময়কর। কারণ আমরা মনে করি একটা লোকের বিশাল একটি বাড়ি থাকলে; গুটিকতক গাড়ি থাকলে; ব্যাংক ব্যালেন্স থাকলে, উড়োজাহাজে বিজনেস ক্লাসে ওড়াউড়ি করলে, একটা ফর্সা বৌ থাকলে, কিছু ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ুয়া বাচ্চা-কাচ্চা থাকলে; লিভিং রুমটি নানা দেশ থেকে আনা শো পিসে পূর্ণ থাকলে, লোকটি গলফ খেললে আর স্ত্রী স্পা নিতে গেলেই সে এলিট হয়ে গেলো! এই ভুলটি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সমাজকে ভীষণ ভুগিয়ে চলেছে। যে বর্ণনাটি দিলাম এটিকে এফলুয়েন্স বলা যায়। শিল্প-বিপ্লব যেহেতু দক্ষিণ এশিয়ায় ঘটেনি তাই…

শ্যামলকান্তি রোদ্দুরের বাংলাদেশ

৫৬ হাজার বর্গমাইল আসলে এরিস্টোটলের পাঠশালা যেন। এই বাংলার নবজাগরণের প্রতীক রবীন্দ্রনাথ-নজরুল-লালন-শাহ আব্দুল করিম কারোরই স্কুলে যেতে হয়নি। জীবনের স্কুল থেকে জ্ঞানের দীপ জ্বেলেছেন তারা। নদীর দেশ, গানের দেশ, কবিতার দেশ বাংলাদেশ। বাঙ্গালী খুবই বিনয়ী এবং আতিথেয়তাপ্রবণ জনগোষ্ঠী। বাংলাদেশের মানুষের ঔদার্যকে যুগে যুগে যারাই দুর্বলতা ভেবেছে; তারাই তাদের পতন ডেকে এনেছে।বাংলার সম্পদ লুন্ঠন করে লন্ডনে শিল্প বিপ্লব করেছিলো বৃটিশ শাসকগোষ্ঠী। এদিকে দুর্ভিক্ষে মারা যায় অসংখ্য মানুষ; বাংলার মানুষ বুঝতে পারে তাদের নদী মনের ঔদার্য্যকে…

মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের কাছে ‘খোলা চিঠি’

প্রিয় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা, আমার ভালোবাসা জেনো। আমি খুব ভাল করেই জানি তোমরা আমাদের সমাজে ধনী-গরীবের বাড়তে থাকা ব্যবধানে অধিকার বঞ্চিত শিশু। তোমাদের পিতা-মাতা তোমাদের লেখাপড়া ও সামান্য অন্নসংস্থানের সুযোগ খুঁজতে মাদ্রাসায় পাঠান। এতো অল্প বয়সে জীবনের কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে তোমরা ধর্মীয় নৈতিক শিক্ষা অর্জনের চেষ্টা করো। তবে পবিত্র কুরান এমন একটি গ্রন্থযা পুরোপুরিভাবে বুঝতে অন্যান্য অনেক বিষয় সম্পর্কে জানা জরুরী। আর এরকম একটি জ্ঞানগর্ভ গ্রন্থ পাঠ করে এর অর্থ তোমাদেরকে বোঝানোর মত সামর্থ্য তোমাদের কজন শিক্ষকের রয়েছে আমি…

নরমুণ্ডু দিয়ে ফুটবল খেলায় আ. লীগ বনাম বিএনপি

শফিক রেহমান কেসস্টাডি আগামী প্রজন্মের জন্য খুবই শিক্ষণীয়। উনি উনার প্রজন্মের অন্যতম মেধাবী মানুষ। মেধাবী হবার কারণে যখন তার সামনে মিডিওকার কিছু বুদ্ধিজীবী আওয়ামী লীগের কোলে বসে সুবাতাস খেয়েছে, উনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এর প্রতিশোধ নিতে উনি বিএনপির কোলে বসে হাওয়া খাবেন। বাংলাদেশের অধিকাংশ বুদ্ধিজীবী এই দ্বিদলীয় ভ্রান্তির দোলনায় চড়ে সৃজনশীল প্রতিভার অপচয় করেছেন। অথচ এসবের প্রয়োজন ছিলো না রেহমানের। ছিমছাম সচ্ছল জীবন ছিলো তার। সমাজকর্মী তালেয়া রেহমানের মতো একজন যোগ্য সহধর্মিনী পেয়েছেন তিনি, যেমন সহধর্মিনী একজন লেখক ও সৃজনশীল মানুষকে…

একটি সামষ্টিক নবজাগরণ সন্নিকটে

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সাংস্কৃতিক প্রবৃদ্ধি সমানুপাতিক নয়। সামাজিক শৃংখলার জন্য সবচেয়ে জরুরী উপাদান সাংস্কৃতিক আলোকায়ন। সাংস্কৃতিক আলোকায়ন ঘটানোর দায়টি সমাজের শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণীর। আমাদের সমাজের গার্মেন্টস কর্মী, একজন অনাবাসী শ্রমিক; প্রত্যন্তের কৃষক এইসব মেহনতী জনতা বাংলাদেশকে আশা জাগানিয়া অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি উপহার দিয়েছে। মধ্যবর্তী দালাল বা ফড়িয়া শ্রেণীটি পেশী ও কালো টাকার জোরে রাজনীতি ও গণতন্ত্রের নামে নীতি নির্ধারক হয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশে যে বিপুল সম্পদ লুন্ঠন হয়েছে; তা লুন্ঠিত না হলে বাংলাদেশের আজ…