শাসনামলের শুরু থেকেই কর্মতৎপরতা দেখাচ্ছেন জো বাইডেন। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় করোনা মোকাবেলা কৌশলপত্র ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। নতুন নির্বাহী আদেশে সই করায় যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণকারীদের করোনা পরীক্ষা করে ফ্লাইটে ওঠা বাধ্যতামূলক হতে যাচ্ছে। এছাড়া টিকাদান প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা এবং করোনা পরীক্ষা ও মাস্কের উৎপাদন বাড়াতে আরও নির্বাহী আদেশ সইয়ের পরিকল্পনাও আছে বাইডেনের।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ১৫টি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলো, প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফিরে যাওয়া। আর এবার করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় নির্বাহী আদেশ সই। সবমিলিয়ে শুরু থেকেই ট্রাম্প প্রশাসনের সাথে নীতি ও কাজে সুস্পষ্ট পার্থক্য গড়ে তুলছেন জো বাইডেন।
করোনা মোকাবেলায় মার্কিন অঙ্গরাজ্যগুলোকে নিজেদের পছন্দমতো সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ দিয়েছিলো ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এই জায়গাটিতে ভিন্ন অবস্থানে বাইডেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েই বাইডেন ঘোষণা দিয়েছিন তিনি সব মার্কিনীর প্রেসিডেন্ট হতে চান, শুধু যারা তাঁকে ভোট দিয়েছে তাদের নয়। কথা নয়, কাজেও তারই প্রমাণ রাখার চেষ্টা। করোনাকে অঞ্চলভিত্তিকভাবে চিন্তা না করে জাতীয় দুর্যোগ বিবেচনা করে কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনায় আগ্রহ নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্টের। আর এজন্যই জরুরি নির্বাহী আদেশ। বাইডেনের ইচ্ছা, অফিসে তাঁর প্রথম ১শ’ দিনে মাস্ক পরায় এরা বেশি মনোযোগী হবেন মার্কিনীরা।
এপ্রিল নাগাদ ভ্যাকসিনের ১০ কোটি ডোজ সম্পন্ন করতে চান বাইডেন। চান আগামী ১শ’ দিনের মধ্যে স্কুল খুলে দিতে। নির্বাহী আদেশ ঘোষণায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের কারও অনুমোদনের দরকার পড়ে না। তবে এসব আদেশ কার্যকরে প্রয়োজন অর্থ, যার বেশিরভাগটাই আসবে বাইডেন প্রস্তাবিত ১ লাখ ৮০ হাজার কোটি ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে। ওই প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্ন ও উচ্চকক্ষের সহায়তার প্রয়োজন পড়বে মার্কিন প্রেসিডেন্টের।