কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন সংরক্ষিত বনে আগুন লাগার ঘটনায় পরিবেশ, জীব বৈচিত্র্য ও বনজ সম্পদসহ অন্তত ৭০ লাখ টাকার বেশী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ। এ ঘটনায় টেকনাফ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করা হয়েছে। তবে কে বা কারা বনে আগুন লাগিয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি বন বিভাগসহ সংশ্লিষ্টরা।
শুক্রবার বিকেলে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের টেকনাফ বিট কর্মকর্তা ( ভারপ্রাপ্ত ) মো. সাজ্জাদ হোসেন চ্যানেল আই অনলাইনকে এসব তথ্য জানান।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে টেকনাফ বন বিট কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন বাদী হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি নথিভূক্ত করার তথ্য নিশ্চিত করেন টেকনাফ থানার ওসি রণজিত কুমার বড়ুয়া।
শুক্রবার সকালে টেকনাফে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের প্রধান বন-সংরক্ষক মো. আলী কবির। এসময় টেকনাফের ইউএনও এবং ওসিসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে টেকনাফ উপজেলা পরিষদের পশ্চিমে অবস্থিত সংরক্ষিত বনের ২৮ হাজার একর পাহাড়ী এলাকাজুড়ে ৪০টি জায়গায় আগুনের ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে এটিকে নাশকতার ঘটনা বলে ধারণা প্রশাসনের।
দীর্ঘ সাড়ে ৪ ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে দমকল বাহিনী, পুলিশ, আনসার ও স্থানীয় এলাকাবাসির সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
আগুন দেয়া বন সংলগ্ন এলাকায় ‘নয়াপাড়া’ ও ‘লেদা’ রোহিঙ্গা ক্যাম্প অবস্থিত। ক্যাম্প দু’টির দূরুত্ব সীমান্তের নাফ নদীর কিনারা থেকে প্রায় এক কিলোমিটার।