চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

ভুল করেও অনুশোচনা নেই ধর্মসেনার

লর্ডসের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের ওভার-থ্রোতে বল বাউন্ডারি ছাড়লে ইংল্যান্ডকে ছয় রান দিয়েছিলেন কুমার ধর্মসেনা। পরে টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় ভুল করে এক রান বেশিই দিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কান আম্পায়ার। সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেক হৈচৈ হয়েছে। হচ্ছে অনেক সমালোচনাও। ধর্মসেনা নিজেও মানছেন এটা তার ‘বিচারিক ত্রুটি’। সঙ্গে এটিও জানিয়েছেন, ওই ভুল সিদ্ধান্ত দিয়ে কোনো অনুশোচনা নেই তার!

‘টিভি রিপ্লে দেখে সিদ্ধান্ত দেয়া অনেক সহজ। অনেকে অনেককিছু বলতে পারে।’ সানডে টাইমসকে এমনই বলেছেন ধর্মসেনা।

‘পরে রিপ্লে দেখে আমিও মানছি সিদ্ধান্তে আমার ভুল ছিল। কিন্তু আমাদের তো আর আয়েশ করে মাঠে বসে টিভির রিপ্লে দেখার সুযোগ নেই এবং এ নিয়ে আমার কোনো অনুশোচনাও নেই। আমি যে তখন একটা সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছি, সেজন্য আইসিসি আমার প্রশংসাও করেছে।’

বিশ্বকাপ ফাইনালে নির্ধারিত ও সুপার ওভার টাই হওয়ার পর বাউন্ডারি বেশির হিসেবে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয় ইংল্যান্ডকে। ম্যাচ শেষে বিতর্কের কেন্দ্র হয়ে ওঠে ধর্মসেনার ছয় রান দেয়া।

ঘটনা ইংল্যান্ড ইনিংসের শেষ ওভারের। জয়ের জন্য স্বাগতিকদের দরকার ছিল ১৫ রান। ট্রেন্ট বোল্টের প্রথম দু’বলে কোনো রান নিতে পারেননি বেন স্টোকস। তৃতীয় বলে ছক্কা মারেন। চতুর্থ বলে ভাগ্যের জোরে ৬ রান পেয়ে যায় ইংলিশরা! দৌড়ে দু’রান নেয়ার সময় রানআউট থেকে বাঁচতে ডাইভ দিয়েছিলেন স্টোকস। তখন গাপটিলের ছোঁড়া বল স্টোকসের ব্যাটে লেগে বাউন্ডারির বাইরে চলে যায়।

শিরোপার ফয়সালা হয়ে গেছে। পেরিয়ে গেছে বেশকিছু দিন। কিন্তু ওই ঘটনা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা থামছে না। প্রশ্ন উঠেছে, ওভার-থ্রো’র সৌজন্যে ইংল্যান্ড ৬ রান না পেলে ম্যাচ টাই-ই হয়ত হতো না। টেলিভিশন রিপ্লে’তে যে স্পষ্টই দেখা গেছে, ডিপ মিডউইকেট থেকে গাপটিল বল ছোঁড়ার সময় স্টোকস ও তার নন-স্ট্রাইক পার্টনার আদিল রশিদ দ্বিতীয় রানের জন্য পরস্পরকে ক্রস করেননি।

বিশ্বকাপজয়ী সাবেক খেলোয়াড় ধর্মসেনা এখন বলছেন, ভুল কি সঠিক সেটার জন্য নিজের সিদ্ধান্ত ছাড়া অন্য কারও উপর নির্ভর করার নিয়ম-সুযোগ তার সামনে ছিল না। একই ম্যাচের আরেক আম্পায়ার মারাইস ইরাসমাসও বলেছেন তাকে ছয় রান দিতে।

‘আইন বলছিল, সিদ্ধান্তের জন্য আমরা থার্ড আম্পায়ারের কাছে যেতে পারবো না। সুতরাং, আমি লেগ আম্পায়ারের (ইরাসমাস) সঙ্গে আলোচনা করেছি। যোগাযোগ সিস্টেমের মাধ্যমে অন্য আম্পায়াররা কী বলেছেন সেটা শুনেছি। তারাও তখন টিভি রিপ্লে দেখেননি। সুতরাং, সবকিছু ভেবে চিন্তেই আমি আমার সিদ্ধান্ত দিয়েছি।’