ঢাকা শহরে রাস্তার পাশের ভবনগুলোর গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকান বা অন্য কিছু থাকলে তা অপসারণ করতে ভবন মালিকদের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
আর যদি রাজউকের গণবিজ্ঞপ্তির ৩০দিনের মধ্যে ভবন মালিকরা তা অপসারণ না করে তাহলে পরবর্তী ছয়মাসের মধ্যে তা রাজউককে অপসারণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে অপসারণের খরচ ভবন মালিকের কাছ থেকে আদায় করতে এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে অননুমোদিত কার পার্কিং উচ্ছেদ করার পদক্ষেপ নিতে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে প্রতি তিনমাস পরপর অগ্রগতি প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করতে সকল বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক রিটের উপর জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এই রায় দেন।
রায়ে আদালত বলেছেন, ‘ভবনে অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকান বা অন্য কিছু থাকলে তা অপসারণের জন্য ৩০ দিনের মধ্যে বাংলা ও ইংরেজি দৈনিকে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে রাজউক। সেই সঙ্গে স্থাপনা অপসারণের বিষয়ে রাজউকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নিজ নিজ এলাকায় মাইকিং করবে।
এর আগে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আসাদুজ্জামান সিদ্দিক একটি রিট করেন। এরপর ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রাস্তার পাশে ভবনের অনুমোদনহীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা অবৈধ স্থাপনা অপসারণে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। শুনানি হওয়ার পর সে রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় আজ দেওয়া হয়। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাজউকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইমাম হোসেন ও মো. শাহজাহান।
আজ রায়ের পর রিটকারী পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঢাকা শহরের রাস্তার পাশের অনেক ভবন মালিকই ভবনের অনুমোদিত গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বসিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করছে। ফলে সেসব ভবনের গাড়িগুলো রাস্তায় পার্কিং করতে হচ্ছে। এতে ঢাকা শহরে রাস্তাগুলোতে ভয়াবহ জ্যামের সৃষ্টি হচ্ছে এবং সাধারণ নাগকিদের চলাচল মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।’