সাধারণত যেটা করে না এখন সেটাই করেছে মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি)। ক্রিকেটের স্বর্গভূমি নামে পরিচিত লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডের স্বত্বাধিকারী ক্লাবটি তাদের সদস্যদের অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট কিনে যেন ভরিয়ে তোলা হয় পুরো গ্যালারি। নইলে যে মান-সম্মান বাঁচে না তাদের! এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য টেলিগ্রাফ।
শুক্রবার বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে লর্ডসে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ম্যাচটা পাকিস্তানিদের জন্যও শেষ ম্যাচ হতে পারে যদি বুধবার নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে দেয় ইংল্যান্ড। সেক্ষেত্রে নির্বিঘ্নে সেমিতে চলে যাবে স্বাগতিকরা। সঙ্গে দারুণ শুরুর পর টুর্নামেন্টে পথ হারানো নিউজিল্যান্ডও সেমির পথে এগিয়ে থাকবে রানরেটের কল্যাণে। তখন শুক্রবারের ম্যাচটা বাংলাদেশ-পাকিস্তান দুদলের জন্যই হবে কেবল আনুষ্ঠানিকতা রক্ষার! কেননা, বাংলাদেশের সেমির স্বপ্নও শেষ হয়ে গেছে ভারতের কাছে হেরে।
নিউজিল্যান্ড হারলেও অবশ্য কাগজে-কলমের হিসাবে কিঞ্চিৎ সুযোগ থাকবে পাকিস্তানের। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশকে কেবল হারালেই চলবে না তাদের, হারাতে হবে আগে ঘটেনি এমন অসম্ভব কোনো ব্যবধানে। তাতেও সেমির সুযোগ না মেলারই কথা, কারণ কিউইদের তুলনায় রানরেটে যোজন যোজন পিছিয়ে সরফরাজ আহমেদের দল। দুদলের পয়েন্ট একই হলেও তখন রানরেট সেমিতে তুলে দেবে কিউইদেরই।
বুধবারের ম্যাচের পরিস্থিতি আগে দেখে পরে টিকিট কেনার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বাংলাদেশ-পাকিস্তানি সমর্থকরা। যদি ইংল্যান্ড জিতেই যায় তাহলে টিকিট কেনায় ভাটা পড়ার আশঙ্কাই বেশি।
এমনটা ঘটলে ভীষণরকম ভাবমূর্তি সংকটে পড়ে যেতে পারে এমসিসি। বুধবার পর্যন্ত শুক্রবারের ম্যাচের টিকিট বিক্রির হার আশঙ্কাজনক হারে কম! অর্ধেক টিকিটও বিক্রি হয়নি। অথচ লর্ডসে ম্যাচ হয়েছে কিন্তু দর্শক নেই এমন নজির নিতান্তই কম!
এই ম্যাচ নিয়ে বেশ আশাতেই ছিল এমসিসি। বাংলাদেশ-পাকিস্তানের পূর্ব বৈরিতা, মাঠে দুই দলের জমজমাট লড়াই, উপমহাদেশীয় দর্শকদের শোরগোল মিলিয়ে পূর্ণ গ্যালারিই আশা করেছিল লর্ডসের মালিক ক্লাব। কিন্তু বাস্তবে তার উল্টোটা হওয়ায় সুনাম খোয়ানোর শঙ্কায় ক্লাবটি।
তাই মাঠ ভরাতে সদস্যদেরকেই ভরসা মানছে এমসিসি। এই সদস্যদের বেশিরভাগই বয়স্ক ব্যক্তি, টেস্ট ও দ্বি-পাক্ষিক সিরিজগুলো সাধারণত তারা বিনামূল্যেই দেখেন। তবে বিশ্বকাপ উপলক্ষে তাদের অনুরোধ করা হয়েছে ৪৫ পাউন্ডে টিকিট কেনার জন্য। আশে পাশের স্কুল শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দেরও খেলা দেখার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ক্লাবটি।