আইপিএল শেষ করেই বিসিবির ডাকে ঢাকায় চলে আসেন গ্যারি কারস্টেন। বেঙ্গালুরুর ব্যাটিং কোচের টাইগার ক্রিকেট সম্পর্কে যতটুকু জানা ছিল সেটি টিভিতে খেলা দেখেই। এবার এসে জানলেন সরেজমিনে। সাউথ আফ্রিকান কিংবদন্তি দুদিন ঢাকায় অবস্থান করে বুঝেছেন ক্রিকেট নিয়ে লাল-সবুজদের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাও।
‘সব দলেরই চ্যালেঞ্জ থাকে। আমার মনে হয় বাংলাদেশের দারুণ সম্ভাবনা আছে। সম্প্রতি তাদের ভালো সাফল্য আছে। কয়েকজন সিনিয়র ও প্রতিভাবান তরুণের মিশেল আছে দলে। আমার মনে হয় এই মিশেলের স্থায়িত্ব রাখা দরকার। সেজন্য সেরকম কোচিং স্টাফ যুক্ত করলে কোনো সন্দেহ নেই সর্বোচ্চ পর্যায়ে তারা লড়াই করবে। আমার মনে হয় এখন প্রতিটি কাজই হবে সামনের ১৮ মাসের বড় একটা লক্ষ্য অর্জনের ধাপ।’
বাংলাদেশ ক্রিকেট সম্পর্কে নিরীক্ষা চালাতে কারস্টেন কথা বলেছেন ক্রিকেটার, কোচ, নির্বাচক, বিসিবি কর্মকর্তাদের সঙ্গে। দেশে ফিরে যাওয়ার আগে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে দিয়ে গেছেন উন্নতির রূপরেখা। ৪৮ ঘণ্টা ঢাকায় কাটিয়েছেন সাউথ আফ্রিকার সাবেক ওপেনার ও ভারতকে ২০১১ বিশ্বকাপ জেতানো কোচ।
হেড কোচ নিয়োগে টাইগারদের খণ্ডকালীন পরামর্শক হয়ে আসা কারস্টেন বেশিরভাগ সময়ই কাটিয়েছেন হোটেল সোনারগাঁওয়ে। ক্রিকেটসংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলে কেমন কোচ দরকার সেটা সম্পর্কে পেয়েছেন ধারনাও।
‘আমি বুঝতে চেয়েছি আগে কারা ভালো কাজ করেছে। আমি জানি চণ্ডিকা (হাথুরুসিংহে) দলের জন্য ভালো কাজ করেছে। বুঝতে চেয়েছি ওই সময় দলের জন্য কি ভালো হয়েছে। মনে হয় আমি ভেতরটা কিছুটা বুঝতে পেরেছি। কেউ একজনকে দ্রুত বেছে নিতে হবে। কারণ অনেক সময় হয়ে গেল (কোচছাড়া)। আশা করি কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই কোচ পাওয়া যাবে।’
বাংলাদেশ ক্রিকেট সম্পর্কে বুঝতে সোমবার কারস্টেন কথা বলেছেন মাশরাফী, তামিম, মুশফিকদের সঙ্গে। মঙ্গলবার হোটেলে ডেকেছিলেন সৌম্যকে। কথা বলেছেন নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন ও হাবিবুল বাশারের সঙ্গে। কয়েকজন বিসিবি পরিচালকের সঙ্গেও কথা বলেছেন। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে বসেছেন সবার শেষে। মঙ্গলবার দুপুরে ধানমন্ডির বেক্সিমকো কার্যালয়ে দুজনে বৈঠক করেন। তাতে কারস্টেন বাতলে যান সাফল্য পেতে এ মুহূর্তে বিসিবির করণীয় সম্পর্কে।
নাজমুল হাসানের ভাষায়- ‘আজকে আমার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে অনেক আলোচনা হয়েছে। ‘এ’ দল, এইচপি দল, অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কোচ আসার প্রক্রিয়া কেমন, কীভাবে কাজ করা হচ্ছে, তাদের কোন লেভেলের কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা আছে। আমাদের দেশে কতগুলো লেভেল করা কোচে আছে। এগুলো সম্পর্কে আইডিয়া নিয়েছে।’
‘সে আজকে চলে যাবে। আবার হয়ত আসবে। যতটুকু দেখলাম, আমাদের সম্পর্কে তার একটা ভালো ধারনা হয়েছে। তার মনে হয়েছে বাংলাদেশে ভালো একটা সম্ভাবনা আছে। এজন্য সে মনে করে আমরা যদি ঠাণ্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নিয়ে সঠিক জায়গায় সঠিক লোক নিয়োগ দিতে পারি, তাহলে বাংলাদেশ ক্রিকেটেরে জন্য অনেক ভালো হবে।’ যোগ করেন নাজমুল হাসান।