বাংলাদেশের জলবায়ু জলবায়ু সঙ্কট মোকাবেলায় গৃহীত কার্যক্রমের প্রশংসা করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, বাংলাদেশ বিশ্বের জলবায়ু সঙ্কট মোকাবেলায় অন্য দেশগুলোকে একত্রিত করার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছে।
সোমবার দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের মধ্যকার এক বৈঠকে তিনি এসব বলেন।
ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিশ্বজুড়ে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষার অন্যতম প্রবল সমর্থক ও এমন আরো অনেক কাজের জন্য বাংলাদেশের কাছে যুক্তরাষ্ট্র কৃতজ্ঞ। বাংলাদেশ বার্মায় (মিয়ানমারে) নিপীড়নের শিকারে হয়ে পালিয়ে আসা প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে অসাধারণ মানবতা ও উদারতা দেখাচ্ছে বরে উল্লেখ করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
কোভিড-১৯ মোকাবেলায় দুই দেশ ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছে জানিয়ে তিনি জানান, কোভ্যাক্সের মাধ্যমে প্রায় ৬ কোটি ১০ লাখ কোভিড-১৯ টিকা ডোজ বাংলাদেশকে দিতে পেরে আমরা গর্বিত।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, টিকা ডোজ পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এক নম্বরে রয়েছে। এছাড়াও (আপনাদের কাছ থেকে) সম্প্রতি পাওয়া ৩১ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ২৭০ কোটি টাকা অর্থনৈতিক সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
মায়ানমারে গণহত্যা স্বীকৃতি দেওয়ায় তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমরা আশা করি নির্যাতিত এই মানুষেরা নিজেদের দেশে প্রত্যাবাসিত হবেন।
তিনি আরও বলেন, গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ অনেক অর্জন করেছে। আমরা একটি তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে পরিচিত ছিলাম, কিন্তু এখন আমরা একটি শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ এবং যেখানে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে।
‘‘যুক্তরাষ্ট্র আমাদের মহান অংশীদার ও বন্ধু। বছরের পর বছর ধরে আপনারা আমাদেরকে সমর্থন দিচ্ছেন, সহায়তা করছেন এবং যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ পথচলা অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশে আপনাদের অর্জন আরো বৃদ্ধি পাবে কারণ আমাদের পথচলায় যুক্তরাষ্ট্র সবসময় সর্বতোভাবে সহায়তা করেছে।’’