আওয়ামী লীগ সরকারের কূটনৈতিক ব্যর্থতার কারণেই রোহিঙ্গা ইস্যুতে কোন ধরনের সিদ্ধান্ত ছাড়া জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক শেষ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন তিনি। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে মিয়ানমার ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে কোন ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ছাড়াই শেষ হয়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে রিজভী এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার রোহিঙ্গা ইস্যুতে শুরু থেকে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। শুরু থেকে কূটনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণ করলে সমগ্র বিশ্ব রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে বিচলিত হত, চিন্তা করত, ভাবত। আর জাতিসংঘও দ্রুত পদক্ষেপ নিতো। কিন্তু সরকার তা না করে সময় ক্ষেপণ করেছে। সে কারণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সরকার সময় মতো কাছে পায়নি।
তিনি বলেন, শুরুতে সরকার রোহিঙ্গাদের এদেশে ঢুকতেও দিতে চায়নি। ঢুকার পর আবার সরকারের বিভিন্ন মহল রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী বানানোরও চেষ্টা করে। এছাড়া মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ওপর ভয়াবহ গণহত্যা চালালেও বাংলাদেশ সরকার একবারও জোরালো প্রতিবাদ জানায়নি।
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, সরকার আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র চীন, রাশিয়া এমনকি ভারতকেও কাছে পেতে ব্যর্থ হয়েছে। এর কারণ একটাই, জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলে তাদের কোন নৈতিক ভিত্তি নেই।।
রিজভীর অভিযোগ, হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে করতে পারছে না। এই সরকারের আমলে কোন ধর্মই নিরাপদ নয়। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই এদেশের মানুষ সাম্প্রদায়িক সংঘাতের কথা নতুন করে শুনেছে এবং দেখেছে।
তিনি বলেন, গত ২০১৩ সাল থেকে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের বাসস্থান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, প্রতিমা-পুজামণ্ডপ ও মন্দির ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা বেড়ে গেছে এবং সরকার লোকজনের হামলায় অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছে। এমনকি হিন্দু -বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ সংবাদ সম্মেলন করে এজন্য আওয়ামী লীগকেই দায়ী করেছেন।