চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেন লালমাটিয়া ক্লাবের অধিনায়ক

নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বিসিবির কাছে চিঠি দিয়েছেন লালমাটিয়া ক্লাবের অধিনায়ক ফয়সাল আহমেদ বনি। পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা পাওয়া এই ক্রিকেটার রোববার বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করে শাস্তির তুলে নেওয়ার জন্য আবেদন করেন।

কুষ্টিয়ার এই ক্রিকেটার পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘আমার এখানে আসার উদ্দেশ্য বোর্ড যেন আমাকে ক্ষমা করে খেলার সুযোগ করে দেয়। ক্রিকেট নিয়ে ভালো কিছু করার ইচ্ছা আছে বলেই এসেছি। সামনের দিকে ক্রিকেট নিয়ে যেন কিছু করতে পারি। আমি বোর্ডকে বলছি, ম্যাচে আমার কিছুই করার ছিল না। আমি কিছুই জানতাম না। একটা ম্যাচেই আমি ক্যাপ্টেন ছিলাম। বোর্ড যেন বুঝতে পারে আমি অন্যায় কিছু করি নাই। এজন্যই আসা।’

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগে ৪ বলে ৯২ রান দিয়ে ক্রিকেট থেকে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন লালমাটিয়া ক্লাবের পেসার সুজন মাহমুদ। বিসিবির তদন্ত বলছে, দেশের ক্রিকেটের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটানো এই কাণ্ডের পেছনে জড়িত ক্লাবটির কোচ, অধিনায়ক, কর্মকর্তারা। এজন্য লালমাটিয়া ক্লাবকে আজীবন, কোচ-ম্যানেজার ও অধিনায়ককে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে বিসিবি।

লালমাটিয়ার অধিনায়ক ফয়সাল সংবাদমাধ্যমকে জানালেন, তিনি আগে থেকে কিছুই জানতেন না। এক্সিওম ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ম্যাচে হঠাৎই অধিনায়কের দায়িত্ব পান ২২ বছরের এই তরুণ। ওইদিন নিয়মিত অধিনায়ক নিলয় ইনডোর স্টেডিয়ামে অংশ নেন ইউনিভার্সিটি ক্রিকেট লিগের ম্যাচে। সেই ম্যাচেই বোলাররা যে এমন কাণ্ড ঘটাবেন তা জানা ছিল না ফয়সালের।

ফয়সালের দাবি, ‘বোলার সুজন মাহমুদ যখন ওয়াইড-নো বল দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন চেষ্টা করেছিলেন তাকে থামাতে। কিন্তু সফল হতে পারেননি। এক ম্যাচের এই অধিনায়ক জানালেন মাঠের খেলায় নিয়ন্ত্রণ ছিল না তার, ‘আমার নিয়ন্ত্রণে কিছু ছিল না। আমি বোলারকে বলছিলাম। আমার কথা শোনেনি। বোলার পরিবর্তনের কথা ভেবেছিলাম, কিন্তু ওভার শেষ না হলে তো সেটাও করার নিয়ম নেই।’

ক্রিকেটীয় ভৌতিক ওই কাণ্ডের পর খবরের শিরোনাম হন লালমাটিয়া ক্লাবের পেসার সুজন মাহমুদ। ৮৯ রান তাড়ায় ওয়াইড ও নো বলের বন্যায় এক্সিওম জিতে যায় চার বলেই। পরে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে লালমাটিয়া ক্লাবের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, পক্ষপাতমূলক আম্পায়ারিংয়ের প্রতিবাদেই ক্রিকেটাররা ওরকম করেছে।

ক্লাবটির অধিনায়ক অবশ্য ভিন্ন কথাই বললেন, ‘আম্পায়ারিং… দুই-একটা ডিসিশন ভুল হতেও পারে। ওইদিন আম্পায়ারিং খারাপ হয়নি, মোটামুটি ভালই হয়েছে। টোটালি বলতে পারেন, আসলে হয়ে গেছে। কেউ বুঝতে পারেনি। আমি ক্যাপ্টেন ছিলাম। আমি নিজেও তো বুঝতে পারিনি। খেলা শেষে বুঝতে পেরেছি।’

ভুল কারণে আলোচিত ম্যাচটির আগেরদিন অন্য আরেকটি ম্যাচে ১.১ ওভারে ৬৯ রান দিয়েছিলেন ফিয়ার ফাইটার্স বোলার তাসনিম হাসান। তার কপালেও জুটেছে ১০ বছরের নিষেধাজ্ঞা। আজীবন নিষিদ্ধ তার ক্লাব ফিয়ার ফাইটার্সাও।