দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেটে ইচ্ছাকরে ওভারে বেশি রান দিয়ে ১০ বছরের জন্য বহিষ্কার হওয়া দুই ক্রিকেটারই আপিল করার সুযোগ পাবেন। বিসিবি পরিচালক ও তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান শেখ সোহেল এ তথ্য জানিয়েছেন। আপিল করলে শাস্তি কমতে পারে কিনা; এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি।
লালমাটিয়া ক্লাবের বোলার সুজন মাহমুদ ৪ বলে ৯২ রান দিয়ে আলোচনায় আসেন। অন্য ম্যাচে ফিয়ার ফাইটার্সের বোলার তাসনীম হাসান ৭ বলে দেন ৬৪ রান। দুটি ঘটনাই মিডিয়ার মাধ্যমে চাউর হয়। পরে তদন্ত কমিটি গঠন করে বিসিবি।
অভিযুক্ত দুই বোলার ইচ্ছাকৃত এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন বলে জানান শেখ সোহেল।
বিসিবির এই পরিচালক বলেন, ‘এটা পূর্বপরিকল্পিত। আমরা তদন্ত করে জেনেছি ক্লাব, কর্মকর্তা, কোচ, ম্যানেজার এর সঙ্গে জড়িত। তাই তাদেরও শাস্তি দিয়েছি।’
কোচ, ম্যানেজার ও অধিনায়ককে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে বিসিবি। ক্লাব দুটিকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়। শাস্তি পেয়েছেন আম্পায়াররাও। আজীজুল বারী ও শামসুর রহমানকে ৬ মাসের জন্য নিষিদ্ধ ও ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়েছে। বিতর্কিত দুটি ম্যাচই পরিচালনা করেন এ দুই আম্পায়ার।
লালমাটিয়া ও ফিয়ার ফাইটার্স ক্লাবের ক্রিকেটাররা বলে আসছিলেন আম্পায়ারদের পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মাঠে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন তারা। যে কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলো সেই মূল জায়গা তেমন হাত দেয়নি তদন্ত কমিটির সদস্যরা। সেটির আঁচ পাওয়া গেল শেখ সোহেলের কথায়, ‘যদি এমন হয় তার জন্য প্রতিবাদের ভাষা তো এটা হতে পারে না। তারা আম্পায়ার্স কমিটিতে চিঠি পাঠাতে পারতেন। সেটা তারা করেননি। ম্যাচ শেষেও কোনও অভিযোগ করেননি। তারা দেশের ক্রিকেটের সম্মান ক্ষুণ্ণ করেছেন। তাদের এমন শাস্তি পাওনাই ছিল।’
পক্ষপাতমূলক আম্পায়ারিংয়ের ব্যাপারটি তদন্তে গুরুত্ব না পেলেও অন্য কারণে শাস্তি পেয়েছেন আম্পায়াররা। সেটি হল ওই পরিস্থিতির সময় তারা খেলা বন্ধ করতে না পারায়।
তদন্ত কমিটির প্রধান শেখ সোহেল আম্পায়ার্স কমিটিরও প্রধান। ঘরোয়া ক্রিকেটে বাজে আম্পায়ারিংয়ের দীর্ঘদিনের যে অভিযোগ সেটি স্বীকার করেছেন তিনি, ‘শিগগিরই আইসিসি থেকে আম্পায়ার এনে দেশের আম্পায়ারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ভবিষ্যতে যদি আম্পায়ারিং নিয়ে কথা ওঠে তাহলে তাদের বড় শাস্তি দেওয়া হবে। বিসিবি এ ব্যাপারে কোনোরকম ছাড় দেবে না।’