‘ভাইরাসজনিত রোগে’ ১৯ দিনের ব্যবধানে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভান্ডারদহ গ্রামে একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে আরও ৫ জন ।
তারা হলেন, তাহের আলী ও তার স্ত্রী হুসনে আরা এবং তাদের দুই ছেলে ইউসুফ আলী ও মেহেদী হাসান এবং মেয়ের জামাই হাবিবুর রহমান।
এই ঘটনার পর পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। নানা রকম গুজব রটেছে স্থানীয়দের মধ্যে। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলছেন, এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মৃত্যুর আগে আক্রান্তরা শারীরিক যন্ত্রণায় ছোটাছুটি করছিল। এই ভয়ে অনেকে এলাকা ছাড়ছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার দাবি, এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এজন্য গ্রামবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
ওই কর্মকর্তা বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে মৃত্যুর সঠিক কারণ জেনে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। আক্রান্ত এলাকার এক কিলোমিটারের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সামরিকভাবে বন্ধ রেখেছে উপজেলা প্রশাসন।
জানা গেছে, গত ৯ ফেব্রুয়ারি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নে ভান্ডারদহ নয়াবাড়ি গ্রামের আবু তাহের মৃত্যুবরণ করেন। আবু তাহের বয়স্ক হওয়ার কারণে বিষয়টি তেমন গুরুত্বের সঙ্গে দেখেনি তার পরিবার।
এরপর গত বুধবার আবু তাহেরের জামাই হাবিবুর রহমান একইভাবে আক্রান্ত হন। পরদিন সকালে ৯টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে হাবিবুরের মৃত্যু হলে জামাইয়ের সেই মৃত্যুর সংবাদ শোনার কিছুক্ষণ পর আবু তাহেরের স্ত্রী হোসনে আরা বেগম মৃত্যুবরণ করেন।
রোববার সকালে একই রোগে আক্রান্ত হন আবু তাহেরের দুই ছেলে ইউসুফ আলী ও মেহেদী হাসান । তাদের দুজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেয়ার পথে সকালে ইউসুফ এবং রাতে সাড়ে ৯টার দিকে মেহেদী মারা যান।
মৃত্যুবরণ করা ইউসুফের স্ত্রী কোহিনুর বেগম ও তার একমাত্র ছেলে সন্তান আবির রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। একই গ্রামের সালমাসহ আরো তিনজনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ।
দুই বছর আগে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ফকদনপুর গ্রামে অজ্ঞাত রোগে নারী ও পুরুষসহ ১৫জনের মৃত্যু হয়েছিল।