মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন চলার সময় যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবনে (ক্যাপিটল বিল্ডিং) প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উগ্র সমর্থকদের তাণ্ডবের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে চার।
ঘটনার পর প্রথমে পুলিশের গুলিতে এক নারীর মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করা হয়েছিল। পরে আরও তিনজনের মৃত্যুর কথা জানায় পুলিশ। তবে কিভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে তা নিশ্চিত করা হয়নি। এই তিনজনের মধ্যে একজন নারী এবং অন্য দুজন পুরুষ।
ওয়াশিংটন ডিসির মেয়র মুরিয়েল বাউজার বলেন, মেট্রো পুলিশ ডিপার্টমেন্টের ১৪ জন সদস্য আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর।
এরই মধ্যে ৫২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাদের ৪৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় কারফিউ ভঙ্গ করার দায়ে। বাকিদের লাইসেন্সবিহীন ও নিষিদ্ধ অস্ত্র রাখার দায়ে।
বুধবার দিবাগত শেষ রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পরে আবার শুরু হয়েছে কংগ্রেসের অধিবেশন।
এরই মধ্যে ওয়াশিংটনে আগামী ১৫ দিন অর্থাৎ ২১ জানুয়ারি দুপুর ৩টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ওই কারফিউ শুরু হয়।
বুধবার সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদের যৌথ এ অধিবেশন চলার সময় ট্রাম্পের শত শত সমর্থক সেখানে ঢুকে পড়ে ভাঙচুর চালায়। পরিস্থিতি আরও খারাপের শঙ্কায় পুলিশ আইনপ্রণেতাদের সেখান থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়।
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের সভাপতিত্বে শুরু হয় কংগ্রেসের ওই যৌথ অধিবেশন। আগেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল এ অধিবেশনেই ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট গণনা করে স্বীকৃতি দেওয়া হবে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জয়।
এছাড়াও বিভিন্ন রাজ্যের ভোট বাতিল নিয়েও আলোচনা হবার কথা ছিল অধিবেশনে। সেখানেই হামলা চালায় ট্রাম্পের সমর্থকরা।