ট্রান্স-তাসমান ত্রিদেশীয় সিরিজে অবশেষে জয়ের মুখ দেখল ইংল্যান্ড। জয় পেলেও অবশ্য ফাইনালে যাওয়া হয়নি। রানরেটের হিসাবে ইংলিশদের টপকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শিরোপা লড়াইয়ের মঞ্চে জায়গা করে নিয়েছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। শনিবার কিউইদের ২ রানে হারিয়েও টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছে ইয়ন মরগানের দল।
রাউন্ড-রবিন লিগের সিরিজে আগের মুখোমুখিতে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। এদিন লড়াই হল হাড্ডাহাড্ডি। টস হেরে ব্যাটে আসে ইংল্যান্ড। শুরুটা ভাল না হলেও অধিনায়ক মরগানের ৪৬ বলে অপরাজিত ৮০, ডেভিড মালানের ৫৩ ও জেসন বয়ের ২১ রানে ৭ উইকেটে ১৯৪ রান করে তারা। জবাবে ৪ উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ওভার শেষে জয় থেকে ২ রান দূরে থামে কিউইদের ইনিংস।
ফাইনাল নিশ্চিত করতে ব্যাটে নেমেই আক্রমণ শুরু করেন নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার। মাত্র সাড়ে ছয় ওভারে ৭৮ রান তুলে কলিন মুনরো থামলে ভাঙে জুটি। ১৮ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর ২১ বলে ৫৭ রানে আউট হন মুনরো, ইনিংসে তিনটি চারের সঙ্গে ছিল সাতটি বিশাল ছক্কার মার।
এই ম্যাচের নিজেই নিজের একটি রেকর্ড স্পর্শ করেছেন মুনরো। বিশ্বের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসাবে গত বছরই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৮ বলে টি-টুয়েন্টি হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। এদিনও করলেন সমান বলে। তবে এই ফরম্যাটে ১৪ বলে হাফসেঞ্চুরি করার রেকর্ডও আছে তার।
টি-টুয়েন্টিতে মুনরোর মত ১৮ বলে হাফসেঞ্চুরি করার নজির আছে আর দুজন ব্যাটসম্যানের। অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের। ম্যাক্সওয়েল আবার এই কাজ করেছেন দুবার। টি-টুয়েন্টিতে ১৭ বলে হাফসেঞ্চুরি করার রেকর্ড আছে, ক্যারিবীয় দানব ক্রিস গেইল, আয়ারল্যান্ডের পল স্টার্লি ও নেদারল্যান্ডসের মাইবার্গের। আর সবচেয়ে কম ১২ বলে হাফসেঞ্চুরির রেকর্ডটা ভারতের যুবরাজ সিংহের। ২০০৭ প্রথম টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে ওই রেকর্ড গড়েন তিনি।
মুনরোর মত ঝড়ো গতিতে না হলেও কম যাননি অন্য ওপেনার মার্টিন গাপটিল। ৪৭ বলে ৬২ রান করে আউট হয়েছেন। শুরু থেকে নিয়ন্ত্রণে থাকা ম্যাচ নিউজিল্যান্ডের হাত থেকে একটু একটু করে বেড়িয়ে যায় অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন (৮) ও রস টেলর (৭) দ্রুত আউট হলে।
ব্যাট হাতে মার্ক চ্যাপম্যান অপরাজিত থাকলেও তার ধীরগতির কারণে রানরেটের সঙ্গে তাল মেলাতে পারেনি কিউরা। ৩০ বলে ৩৭ রান করেন চ্যাপম্যান। শেষে সুবিধে করতে পারেননি কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমেও (৭)।
নিউজিল্যান্ড অবশ্য হারের আরও আগেই নির্ভার হয়ে গেছে! ১৯৫ রানের টার্গেটে হারার আগে ১৭৪ রান তুলতে পারলেই ফাইনালে চলে যেত তারা। এই রান ১৮.১ ওভারের সময়ই তুলে নেয় স্বাগতিকরা।