ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের আরও ৬২৫ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তার ঘোষণাকে সরাসরি সংঘাতের উস্কানি হিসেবে দেখছে রাশিয়া। এর পরিণাম ভয়াবহ হতে পারে বলে ওয়াশিংটনকে সতর্ক করেছে মস্কো।
গত কয়েক সপ্তাহে ইউক্রেনে যুদ্ধ পরিস্থিতি দ্রুত পাল্টে গেছে। দেশটির দক্ষিণ-পূর্বের বিভিন্ন অঞ্চল রুশ বাহিনীর হাতছাড়া হচ্ছে। কিয়েভের অপ্রত্যাশিত এই সফলতায় বড় ভূমিকা রাখছে মার্কিন সামরিক সহায়তা। ইউক্রেনে আরেক দফা অত্যাধুনিক যুদ্রাস্ত্র পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ওয়াশিংটনের সামরিক সহায়তাকে তাৎক্ষণিক হুমকি হিসেবে দেখছে মস্কো। এতে পশ্চিমাদের সঙ্গে রাশিয়ার সরাসরি সামরিক সংঘাতের ঝুঁকি বাড়বে বলে সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আনাতলি আন্তোনভ।
দখলে নেওয়া ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ফেরানোর অঙ্গীকার করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। হাতছাড়া হওয়া এলাকাগুলো আবার দখলে নেওয়ার প্রত্যয় জানিয়েছে ক্রেমলিন।
যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তির পরও অপরিশোধিত তেলের উৎপাদন দিনে ২ মিলিয়ন ব্যারেল কমাতে যাচ্ছে ওপেক প্লাস। পশ্চিমাদের রাশিয়ার তেলের মূল্য বেঁধে দেওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে এ সিদ্ধান্ত নিল তেল উৎপাদক ও রপ্তানিকারক দেশগুলোর জোটটি।
এতে নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোর উপর খুব বাজে প্রভাব পড়বে জানিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউজ। আর রাশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্ডার নোভাক হুমকি দিয়েছেন, পশ্চিমা দেশগুলো মূল্য নির্ধারণ করে দিলে তেল উৎপাদনই বন্ধ করে দিতে পারে রাশিয়া।