চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ইতিহাস পরিবর্তন করতে চায় জাপান

কাতার বিশ্বকাপের আগেও মোট ছয়বার ফিফার আসরটিতে খেলেছে জাপান। কোনবারই পেরোতে পারেনি শেষ ষোলো। ২০০২ সালে নিজ দেশে আয়োজিত বিশ্বআসর এবং ২০১০ বিশ্বমঞ্চে সর্বোচ্চ নবম স্থানে থেকে শেষ করেছে এশিয়ার দেশটি। গ্রুপপর্বে স্পেন ও জার্মানিকে হারিয়ে দেয়া সামুরাইরা এবার ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে গড়তে চায় ইতিহাস।

জাপানিজদের কোচ হাজিমে মরিয়াসুর বিশ্বাস তার শিষ্যদের শৃঙ্খলায়, শক্তিতে ও পরিকল্পনা-ট্যাকটিসে। গতবারের রানার্সআপ ক্রোয়েটদের বিপক্ষে ভয় কাটিয়ে সেরা খেলা খেলতে পারলে প্রথমবারের মতো শেষ আট নিশ্চিত করবে জাপান। হাজিমের বিশ্বাস, নির্দিষ্ট খেলোয়াড় নয়, দলের ভিন্ন খেলোয়াড়ের আলাদা আলাদা দক্ষতা এবারও কাজে দেবে।

‘আমাদের সামনে বিশ্বকে দেখিয়ে দেয়ার বড় সুযোগ— আমরাও সামুরাইদের মতো লড়তে জানি। জাপান এমন একটি দল যারা সবসময় সংগঠিত হয়ে খেলতে পারে। কিন্তু যদি আলাদা করে খেলোয়াড়রা শক্তিশালী না হয়, সেটা সত্যিই যথেষ্ট নয়। শেষ চার বছরে আলাদা করে খেলোয়াড়রা অনেকবেশি শক্তিশালী হয়েছেন।’

শক্তিশালী ক্রোয়েটদের ভয় না পাওয়ার আহ্বান জানিয়ে জাপান কোচ শিষ্যদের সাহস জুগিয়েছেন, ‘অবশ্যই, কৌশল ও দক্ষতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ— এটা ফুটবলের সাথে ঠিক একই। কিন্তু ব্যাপার হচ্ছে আমরা সেটিতে কতটা দক্ষ হতে পারছি। মাঠে থাকতে যদি ভয় পাই, সেটি আসলেই অপ্রয়োজনীয় হবে। ক্রোয়েটদের বিপক্ষে আমাদের প্রথম যা দরকার তা হল সাহস।’

গ্রুপ ‘ই’ থেকে সাবেক দুই বিশ্বকাপজয়ী জার্মানি ও স্পেনকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলোতে এসেছে জাপান। ১৯৯৭ সালের পর মোট তিনবার মুখোমুখি হয়েছিল জাপান-ক্রোয়েশিয়া। প্রীতি ম্যাচে জাপান ৪-৩ গোলে হারিয়ে দিয়েছিল ক্রোয়েশিয়াকে। ১৯৯৮ বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে দেয় জাপান। ২০০৬ বিশ্বকাপে ০-০ গোলে ড্র হয়েছিল। জয় তুলতে পারলে মায়া ইয়োশিদা-তাকুমা আসানোদের সামনে এবার ইতিহাস গড়ার হাতছানি।