ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বর্তমানে শীর্ষে ব্রাজিল। বিপরীতে সেলেসাওদের চেয়ে বেশ পিছিয়ে সাউথ কোরিয়া, আছে ২৮তম স্থানে। দুদলের তফাৎটা এখানে পরিষ্কার। সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ মুখোমুখি হবে ব্রাজিল-কোরিয়া।
দুদলের মুখোমুখি লড়াইয়ের ইতিহাসও ব্রাজিলের একচেটিয়া প্রাধান্যের প্রমাণ দিচ্ছে। সাতবারের দেখায় সাম্বার দেশটি জিতেছে ছয়বার, একবার কোরিয়া।
১৯৯৫ সালে প্রীতি ম্যাচে দল দুটি প্রথমবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। কার্লোস দুঙ্গার গোলে ১-০ ব্যবধানে ম্যাচ জিতেছিল ব্রাজিল।
বিশ্বকাপে ব্রাজিল ও সাউথ কোরিয়া এবারই প্রথম মুখোমুখি হতে চলেছে। কেমন হতে পারে ম্যাচের ফল, সেটি অনুমান করতে দুদলের সবশেষ খেলার দিকে তাকানো যেতে পারে।
গত জুনে প্রীতি ম্যাচে কোরিয়াকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে টিটের দল। সেখান থেকে নেইমার-রিচার্লিসনরা অনুপ্রাণিত হয়ে সেরাটা দিতে পারলে একপেশে খেলাও হতে পারে! যটিও সাবধানী টিটে বলেছেন, ছয় মাস আগের সেই জয়ের ঘটনায় তার দল আত্মতুষ্টিতে ভুগবে না।
তবে সবসময় মাঠের লড়াইয়ে ইতিহাস ও পরিসংখ্যান কাজ করে না। গ্রুপপর্বে শিরোপা প্রত্যাশী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালকে হারিয়ে এশিয়ার পরাশক্তিরা জানান দিয়েছে, তারা ছেড়ে দেয়ার পাত্র নয়।
রিচার্লিসনের জোড়া গোলে সার্বিয়ার বিপক্ষে হেক্সা মিশনের শুরুটা ক্ল্যাসিক ঢংয়েই করেছিল ব্রাজিল। পরের ম্যাচে কাসেমিরোর বাঁ-পায়ের দর্শনীয় গোলে সুইজারল্যান্ডকে পরাস্ত করে সেলেসাওরা। এক ম্যাচ হাতে রেখেই রেকর্ড পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা নকআউট পর্বে চলে যায়।
মূল খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দেয়ার জন্য ক্যামেরুনের বিপক্ষে বেঞ্চের ফুটবলারদের খেলিয়েছিলেন টিটে। ম্যাচটি ১-০ গোলে হেরে ধাক্কা খেলেও সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ্য দলটির ঐতিহ্যগতভাবেই রয়েছে।
চোট কাটিয়ে এখন ফিট নেইমার। অনুশীলনের শেষে এসে মাঠে দিয়েছেন দৌড়। গোড়ালিতে আর ব্যথা অনুভব করেননি। কোচ টিটে জানিয়েছেন, সাউথ কোরিয়ার বিপক্ষে শেষ ষোলোর ম্যাচে ব্রাজিলিয়ান ওয়ান্ডার বয়ের খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা নেই।
অন্যদিকে, বিশ্বকাপে কোরিয়ার শুরুটা উরুগুয়ের সঙ্গে গোলশূন্য ড্রয়ে হয়েছিল। উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে ঘানার কাছে ৩-২ গোলে হেরে বিদায়ের ঘণ্টা শুনতে পেয়েছিল তারা। শক্তিশালী পর্তুগালের বিপক্ষে ২-১ গোলের চমক জাগানো জয়ে পরে শেষ ষোলোর টিকিট কাটে সন হিউং-মিনের দল।
স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারলে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট আজ ব্রাজিলেরই নিশ্চিত করার কথা বলছেন বিশ্লেষকরা। সাউথ কোরিয়াও নিজেদের সেরাটা দিয়ে আসরে আরও দূর যেতে মরিয়া থাকবে, তারা বলছেন এটিও।