‘বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটাররা ম্যাচ কম পান’ —কথাটি টাইগ্রেস ক্রিকেটে স্থায়ী হতে চলেছিল। গত মার্চে ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকে ফেরার পর এখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নামতে পারেননি সালমা-রুমানারা। আইসিসির নতুন সফর সূচি পরিকল্পনায় সেই ম্যাচখরা অনেকটাই কেটে যাচ্ছে।
টিম টাইগ্রেস আসছে ৩ বছরে সাদা বলের দুটি ফরম্যাটে ৫০ ম্যাচ খেলবে। মঙ্গলবার ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২২-২৫ চক্রে ২৪টি একদিনের ও ২৬টি টি-টুয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। দেশে চারটি দলকে আমন্ত্রণ জানানোর পাশাপাশি চারটি দেশে সফর করবে লাল-সবুজের দল।
সালমা-রুমানাদের নতুন এফটিপির যাত্রা শুরু হবে চলতি বছরের ডিসেম্বরে। নিউজিল্যান্ড সফর বাদেও সাউথ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে তিনটি করে টি-টুয়েন্টি আর ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে তারা।
ঘরের মাটিতে আতিথেয়তা দেবে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান ও আয়ারল্যান্ডকে। প্রতিটি দলের বিপক্ষে তিনটি করে টি-টুয়েন্টি এবং ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে তারা। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠের সিরিজে দুটি বেশি, অর্থাৎ পাঁচটি টি-টুয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ।
আইসিসির এফটিপির অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় প্রতিপক্ষ বাড়ার পাশাপাশি ম্যাচও বেড়েছে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ডের মতো দলগুলোর। ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেকের পর প্রায় একযুগে মোটে ৪৯টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। সেখানে নতুন এফটিপি অনুযায়ী, তিন বছরে আরও ২৪টি ওয়ানডে খেলবে।
২০১২ সালে টি-টুয়েন্টি পথচলা শুরুর পর এপর্যন্ত এ ফরম্যাটে ৭৯টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে এক তৃতীয়াংশ আইসিসি ইভেন্টের বাছাইপর্বের ম্যাচ। দ্বিপাক্ষিক সিরিজে এবার সেখানে খেলার সুযোগ পাচ্ছে ২৬টি ম্যাচ।
গত চক্রে বাংলাদেশের মেয়েরা ১১টি ওয়ানডে খেলতে পেরেছিল, নতুন চক্রে তা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। অবশ্য দুই ফরম্যাট মিলিয়ে সাদা বলে ৫০টি ম্যাচ খেললেও নতুন এ সূচিতে লাল বলের কোনো ম্যাচ পায়নি লাল-সবুজের দল। সূচিতে ইংল্যান্ড সর্বোচ্চ ৫টি টেস্ট খেলবে, অস্ট্রেলিয়া ৪টি, সাউথ আফ্রিকা ৩টি এবং ভারত ২টি টেস্ট খেলার সুযোগ পাবে।
মেয়েদের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ সফরসূচি পরিকল্পনায় (এফটিপি) ৭টি টেস্ট, ১৫৯টি টি-টুয়েন্টি ও ১৩৫টি ওয়ানডে খেলবে ১০টি দল। চক্রের শেষে শীর্ষ পাঁচটি দল ও স্বাগতিক দল ২০২৫ বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা পাবে। বাকি দলগুলোকে বাছাইপর্বের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ৮ দল নিয়ে ভারতে আয়োজিত হবে মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ।