আশির দশকের মাঠ কাঁপানো ডিফেন্ডার, ‘চীনের প্রাচীর’খ্যাত তারকা ফুটবলার আজমত আলী মারা গেছেন। মঙ্গলবার বেলা ৩টা ৩৫ মিনিটে গাজীপুরের হরিনাল দক্ষিণ পাড়ার নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি, জানিয়েছেন তার ছেলে আহসানুল হক অর্ণব।
অনেকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন আজমত। হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। স্ত্রী আর দুই ছেলেকে নিয়ে ছিল তার সংসার। ছোট ছেলে অর্ণব তার সঙ্গেই থাকতেন, বড় ছেলে আজিজুল হক নেদারল্যান্ডস প্রবাসী।
সোমবার চ্যানেল আই অনলাইনকে শারীরিক অবস্থার অবনতি নিয়ে বলেছিলেন সাবেক তারকা ডিফেন্ডার। জাহিদ রহমানকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জানান, ‘সামনে আর বিশ্বকাপ দেখা হবে কিনা বলা মুশকিল। শরীর ভালো নেই। কষ্ট করে চলাফেরা করতে হয়। গাজীপুরে বাসার পাশের একটা বাজার ছাড়া কোথাও যাওয়া হয় না।’
বাংলাদেশ ফুটবলের সোনালী সময়ে লাল-সবুজদের রক্ষণ সামলানোর দায়িত্বে ছিলেন আজমত আলী। দেশের ফুটবল ইতিহাসে নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখতে সক্ষম হয়েছেন। জাদুকর স্টপারকে ভেদ করে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের ডি-বক্সে ঢুকে পড়ে গোল করা ছিল দূরহ কাজ। ফুটবলের স্বর্ণযুগে আজমত এমনই ছিলেন।
১৯৯২ সালে ফুটবল থেকে সরে যাওয়ার পর কোচিংয়ে যাত্রা শুরু করলেও দীর্ঘ সময় থাকেননি। বাংলাদেশ নৌবাহিনী, ধানমন্ডি ক্লাবে কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। পরে মন সায় না দেয়ায় ফুটবলকে বিদায় জানিয়ে দেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত জন্মভিটে গাজীপুরে বাস করছিলেন সোনালী যুগের তারকা।