২০০৯-১১ সাল পর্যন্ত ইংলিশ ক্লাব চেলসির কোচ ছিলেন কার্লো আনচেলত্তি। সেসময় তার অধীনে খেলতেন মিডফিল্ডার ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ড। আনচেলত্তির সাবেক শিষ্য এখন চেলসির কোচ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রাতে দেখা হচ্ছে দুজনের। অভিজ্ঞতার দিক থেকে রিয়াল বস এগিয়ে থাকলেও বড় ম্যাচের আগে সেসবকে গুরুত্ব দিতে নারাজ আনচেলত্তি।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কোয়ার্টার ফাইনালে প্রথম লেগের লড়াইয়ে মুখোমুখি হচ্ছে আনচেলত্তির রিয়াল মাদ্রিদ ও ল্যাম্পার্ডের চেলসি। বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় মাঠে গড়াবে মহারণ।
কোচ হিসেবে গুরু-শিষ্যের লড়াইয়ের আগে আনচেলত্তি বলছেন, ‘আমার বয়স ৬৩, আর ল্যাম্পার্ডের ৪৪। অভিজ্ঞতায় আমি তার থেকে ২০ বছর এগিয়ে। কিন্তু খেলায় যা ঘটবে তা আসলে এই অভিজ্ঞতা পরিবর্তন করতে পারবে না। ল্যাম্পার্ড সত্যিই একজন দুর্দান্ত খেলোয়াড় ছিলেন। নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি আমি তার কোচ ছিলাম। তিনি দুর্দান্ত এবং অসাধারণ পেশাদার ছিলেন।’
হাইভোল্টেজ ম্যাচটি ঘিরে চড়েছে উন্মাদনার পারদ, চলছে ইতিহাস-পরিসংখ্যানের চুলচেরা বিশ্লেষণ। ইউরোপসেরার লড়াইয়ে দল দুটি আগে ৭ বার মুখোমুখি হয়েছে। চারবারই জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল ব্লুজরা। বিপরীতে, লস ব্লাঙ্কোসদের জয় মাত্র একটি। অমীমাংসিতভাবে দুটি ম্যাচ শেষ হয়েছিল।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সার্বিক ইতিহাস ও বাস্তবতা রিয়ালের পক্ষে কথা বলছে। রেকর্ড ১৪ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা, চেলসি জিতেছে দুবার। এমন বাস্তবতায় কোচ হিসবে ল্যাম্পার্ডকে গুরুত্ব দিয়েই দেখছেন আনচেলত্তি।
ইতালিয়ান কোচ বলছেন, ‘ল্যাম্পার্ড জানেন কীভাবে এধরনের খেলাগুলো পরিবর্তন করতে হয়। এমন একটি ম্যাচের আগে দলকে কীভাবে প্রস্তুত করতে হয় সেটিও তার জানা। এখানে অভিজ্ঞতা খুব বেশি অর্থবহ নয়। খেলোয়াড়দের ভালো করেই বোঝেন তিনি, এবং আমি নিশ্চিতভাবেই বলতে পারি তিনি ভালো করবেন।’