ফিট থাকতে হলে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করাটা জরুরী। বয়স এবং উচ্চতার তুলনায় ওজন বেশি হলে সময়ের আগেই শরীরে ঘর বাঁধে রোগ। হাঁটতে-চলতে সমস্যা, শ্বাস কষ্ট, কিডনি-হার্ট জড়িত সমস্যা ইত্যাদি সময়ের আগেই দেখা দেয়। এইসব রোগ থেকে দূরে একটি সুস্থ জীবন কাঁটাতে, ফিট থাকতে প্রয়োজন কার্যকর ডায়েট।
তবে অনেক সময় আমরা ওজন কমাতে গিয়ে কম খাবার খাই বা প্রয়োজনীয় খাবার খাই না, যার জন্য দুর্বলতা দেখা দেয়। দ্রুত ওজন ঝরাতে ক্যালোরি কম খেলেই ভাল। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাই ক্যালোরির পরিমাণ কম কিন্তু ভরপুর প্রোটিন রয়েছে, এমন কয়েকটি খাবার পাতে রাখা জরুরি।
৫টি খাবার ডায়েটে উপকারী হবে:
ছানা
দুধ দিয়ে ছানা বাড়িতেই তৈরি করে নেয়া যায়। যে দুধে ফ্যাটের পরিমাণ কম, তা ব্যবহার করতে পারেন। ছানায় প্রোটিনের পরিমাণ অনেক। কিন্তু ক্যালোরি নেই বললেই চলে। স্বাস্থ্যকর মশলা দিয়ে হালকা অলিভ অয়েল দিয়ে নাড়াচাড়া করে খেতে পারেন।
গ্রিক ইয়োগার্ট
ডায়েটের তালিকায় রাখা যেতে পারে গ্রিক ইয়োগার্ট। ক্যালোরি থাকলেও তার পরিমাণ খুবই কম হয় এবং প্রোটিনও রয়েছে। শরীরে প্রোটিনের পর্যাপ্ত জোগান দিতে এই দই খেতে পারেন। গ্রিক ইয়োগার্টের সঙ্গে কয়েকটি বেরি মিশিয়ে খেতে পারেন। উপকার পাবেন।
ডিমের সাদা অংশ
শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলেও চিকিৎসকেরা ডিমের সাদা অংশটি খাওয়ারই পরামর্শ দেয়া হয়। কুসুমের চেয়েও সাদা অংশটি বেশি প্রোটিন সমৃদ্ধ। ক্যালোরিও নেই। ওজন কমাতে চাইলে প্রতিদিনের খাবারে ডিমের সাদা অংশ রাখা জরুরি।
চিয়া পুডিং
খাবার শেষে স্বাস্থ্যকর মিষ্টিমুখ হতে পারে চিয়া বীজ দিয়ে বানানো পুডিং। দুধ দিয়ে বানানো এই পুডিং স্বাস্থ্যকর তো বটেই, একসঙ্গে সুস্বাদুও। চিয়া ওজন কমাতে সক্ষম। নিয়মিত খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। প্রোটিনও আছে। আবার ক্যালোরিও নেই।
পিনাট বাটার
পিনাট বাটার আরও স্বাস্থ্যকর হয়ে উঠতে পারে যদি তাতে ওট্স, চিয়া আর তিসির বীজও মেশান। সকালে পাউরুটির সঙ্গে মাখিয়ে খেলে বেশ অনেক ক্ষণ পেট ভর্তি থাকবে। বারবার খাবার খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমবে। স্বাদ মিষ্টি হলেও ক্যালোরি নেই। বরং প্রোটিন আছে অনেকটা পরিমাণে।