সৌদি আরবের একজন কট্টর ধর্মীয় নেতা আহমেদ বিন সাদ আল কার্নি বলেছেন, ধর্ষণের জন্য আক্রান্ত নারীরাই দায়ী। নারীরা হয়রানি এবং ব্যভিচারের কারণ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। সৌদি ধর্মীয় নেতার এমন মন্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
ডেইলি মেইল অনলাইন জানায়, কথিত এই ধর্মীয় নেতা নিজেকে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের একজন সদস্য বলেও দাবি করেন। মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে একটি ভিডিও শেয়ার করে বিতর্কিত মন্তব্যটি করেন এই কথিত ধর্মীয় নেতা।
ভিডিওতে দেখা যায়, দাঁড়িয়ে থাকা একজন নারীর পাশ দিয়ে একটি কালো গাড়ি যাচ্ছে। এসময় গাড়ির জানালা দিয়ে এক ব্যক্তি মাথা বের করেন, তিনি নারীর দিকে তাকিয়ে হাসতে থাকেন। পরের অংশে ওই নারীকে গাড়িতে উঠতে দেখা যায়।
ভিডিওটি শেয়ার করে সাদ আল কার্নি লিখেছেন, ধর্ষণ ও লাঞ্চনা করতে নারীরা পুরুষদের উদ্বুদ্ধ করে। পুরুষ যদি নারীকে ধর্ষণ করে তবে সে সম্মান হারিয়ে কাঁদতে কাঁদতে আসবে।
তিনি বলেন, ‘কসম করে বলছি, হয়রানি এবং ব্যভিচারের জন্য নারীরা দায়ী। ভিডিওতে এই নারীকে দেখুন, সেই পুরুষটিকে গাড়ি থামাতে বাধ্য করেছে এবং সেই তার সাথে গাড়িটিতে উঠেছে। সে পুরুষটিকে প্রলুব্ধ করছে। পুরুষদের দায়ী করবেন না।’
সাদ আল কার্নি আরও লিখেন, যে নারী মেকআপ এবং পারফিউম মেখে বাসা থেকে বের হয় সে ব্যভিচারিণী। অ্যাপ্রোন পরিহিত একজন ভালো নারী কখনও এভাবে বাসা থেকে বেরোবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আল কার্নির ৬৬ হাজার টুইটার অনুসারীদের কিছুসংখ্যক তার এই মতের সাথে একমত হলেও অনেকেই এর তীব্র প্রতিবাদ জানান। এমনকি অনেকেই তার বিরুদ্ধে রিপোর্ট করার আহ্বান জানান। তিনি নারীদের হয়রানি করতে উৎসাহিত করছেন বলেও অনেকে অভিযোগ করেন।