পত্রিকার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর একটা আত্মিক যোগসূত্র ছিল বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
চ্যানেল আই’র ২২ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে প্রকাশিত ক্রোড়পত্রের জন্য বিশেষ নিবন্ধ লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেখানে তিনি জানিয়েছেন, আব্বা যখন কলকাতায় পড়ালেখা করছিলেন, তখনই একটা পত্রিকা প্রকাশের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। জনাব হাশেম এ পত্রিকার তত্ত্বাবধান করতেন এবং তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করতেন। পত্রিকাটির প্রচারের কাজে আব্বা যুক্ত ছিলেন। ‘মিল্লাত’ ও ‘ইত্তেহাদ’ নামে ২টি পত্রিকা প্রকাশিত হয়েছিল। সেগুলির সঙ্গেও আব্বা জড়িত ছিলেন। ১৯৫৭ সালে ‘নতুন দিন’ নামে আরেকটি পত্রিকার সঙ্গে আব্বা সম্পৃক্ত হন। জুলফিকার (পুরো নাম স্মরণে নেই) নামে এক প্রবীণ সাংবাদিক এর সম্পাদক হয়েছিলেন।
পাকিস্তান সৃষ্টির পর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর আর্থিক সহায়তায় ‘ইত্তেফাক’ পত্রিকা প্রকাশিত হয়। তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া এ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। এ পত্রিকার সঙ্গেও আব্বা সংযুক্ত ছিলেন এবং কাজ করেছেন।
বাংলার বাণী পত্রিকার বিষয়ে নিবন্ধে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, সাপ্তাহিক ‘বাংলার বাণী’ নামে একটা পত্রিকা প্রকাশ করা শুরু করলেন আব্বা। সেগুনবাগিচায় একটা জায়গা নিয়ে সেখানে একটা ট্রেডেল মেশিন বসানো হলো। সেখান থেকে ‘বাংলার বাণী’ প্রকাশিত হতো। মণি ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা’য় পড়তেন। তাঁকেই কাগজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।