সাতক্ষীরায় নাশকতা মামলার আসামী জামায়াত নেতাদের বাঁচানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সরকারি দল আওয়ামী লীগ নেতারাই। ভুয়া প্রত্যয়নপত্রে জামায়াত নেতাদের সাজানো হচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী হিসেবে।
প্রত্যয়ন পত্রে বলা হয় ওই জামায়াত নেতারাই শুধু নয় তাদের পুরো পরিবারই আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
রংপুর আর গাইবান্ধার পর জামায়াতি তান্ডবে সব থেকে বেশী রক্তাক্ত হয় জামায়াত অধ্যুষিত সাতক্ষীরা জেলা। জামায়াত শিবির নেতা কর্মীদের নামে অর্ধশত মামলা দায়ের করা হয়। পলাতক থেকে তারা যোগাযোগ রাখেন সরকার দলীয় নেতাদের সঙ্গে। আওয়ামীলীগের এক নেতার নিকট স্বজন হলেন জামায়াতের এক আমির। তার মাধ্যমে যোগাড় হতে থাকে অভিনব প্রত্যয়ন পত্র।
সাতক্ষীরা জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল মান্নান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,যেসব জামায়াত নেতা-কর্মী সেদিন আওয়ামীলীগ নেতাদের হত্যা করতে রাজপথে নেমেছিলো আজ তাদেরকেই আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মী হিসেবে ‘সার্টিফিকেট’ দিচ্ছে দলেরই কয়েকজন নেতা।
এই প্রত্যয়নপত্রের জোরে জামায়াত-শিবির কর্মীরা পার পেয়ে যাচ্ছে বলে জানান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হোসাইন সুজন। তিনি অভিযোগ করেন, জামায়াত-শিবির কর্মীদের এখন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর পরিচয় দেয়া হচ্ছে। তাদের পরিবারও ‘আওয়ামী সমর্থক পরিবার’ হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছে। এভাবেই ভুয়া প্রত্যয়নের জোরে তারা খালাস পেয়ে যাচ্ছে।
ওই প্রত্যয়ন পত্র দিয়েই চার্জশীট থেকে জামায়াত নেতাদের নাম বাদ দিতে আর আদালত থেকে জামিন নিতে চেষ্টা চলে।
জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সাইফুল করিম সাবু জানালেন, স্থানীয় ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ নেতারা এসব ভুয়া প্রত্যয়নপত্র দিচ্ছে।
তবে প্রত্যয়ন দিলেই জামায়াত শিবির নেতারা আওয়ামী লীগ হয়ে যায় না বলেছেন সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর। তিনি বলেন, কে কী সার্টিফিকেট দিলো তাতে মামলার তদন্ত প্রভাবিত হবে না। পুলিশ সুপার বলেছেন,অপরাধী যে দলেরই হোক না কেন ‘অপরাধীকে আমরা অপরাধী হিসেবেই বিবেচনা করবো’।
জামায়াত শিবির কর্মীদের ছাড়িয়ে নিতে সনদ প্রদানকারী ও তদবীরকারী আওয়ামীলীগ নেতাদের তালিকা করছে স্থানীয় প্রশাসন।