আন্দামান সাগরে ভাসমান অভিবাসীদের আশ্রয় দানের মার্কিন ঘোষণার পর থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া উদ্ধার অভিযানে নেমেছে।
মানব পাচারের শিকার হাজার হাজার মানুষের মধ্যে অধিকাংশই রোহিঙ্গা। তাদের মধ্যে কিছু বাংলাদেশীও রয়েছে।
সাগরে ভাসছে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশী। প্রয়োজনীয় খাবার সংকটে অনেকেই মৃতপ্রায়।
তাদের উদ্ধারে ও সাময়িক আশ্রয়দানে রাজি হয়ে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া জাহাজ পাঠিয়েছে। অবশেষে আগামী সপ্তাহে ব্যাংককে আঞ্চলিক জরুরি বৈঠকে যোগদানে রাজি হয়েছে মিয়ানমার।
মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব স্বীকার করে না। আরাকান অঞ্চলের রোহিঙ্গাদের জন্য নেই নাগরিক অধিকার।
সেই রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বাংলাদেশীরাও মানবপাচারের শিকার হয়ে সাগরে ভাসছে। জাতিসংঘের হিসেব মতে গত তিন বছরে সাগরপথে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা পাড়ি দিয়েছে বিভিন্ন দেশে।
যুক্তরাষ্ট্র সাগরে ভাসমান সকল অভিবাসীদের আশ্রয় দেবে এমন ঘোষণায় মৃতপ্রায় অভিবাসীদের প্রাণ ফিরে এসেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মেরি হার্ফ বলেন, অভিবাসী সমস্যায় সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। রোহিঙ্গা সমস্যায় মিয়ানমারকে এখনই যথাযথ সিদ্ধান্তে আসতে হবে।
মিয়ানমারে মালয়েশিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনিফা আমান দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী উনা মঙ লিয়ুনেরসাথে বৈঠকে করেন।