ধানের ফলন বাড়াতে ও পুষ্টির চাহিদা পূরণে নীলফামারীতে জিংকসমৃদ্ধ ব্রি ধান-৬৪ চাষ শুরু হয়েছে । ভালো ফলন ও একই জমিতে বছরে চারটি ফসল আবাদের সম্ভাবনায় আগ্রহ বেড়েছে কৃষকের।
হারভেস্ট প্লাস ও আরডিআরএস বাংলাদেশের আর্থিক সহায়তায় নীলফামারীর ৫০ জন কৃষক ৫০ বিঘা জমিতে জিংকসমৃদ্ধ-৬৪ ধান উৎপাদন করে সফল হয়েছেন।
হার্ভেস্ট প্লাস প্রতিনিধি রুহুল আমীন জানান, ব্রি ধান ২৮’র তুলনায় জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ৬৪’র ফলন বিঘা প্রতি ফলন ৩-৪ মণ বেশি।
ব্রি ৬৪ জাতের ধান চাষ সম্প্রসারণে বেসরকারী উদ্যোগে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে বিনামূল্যে উপকরণ সরবরাহ করা হচ্ছে কৃষকদের। আরডিআরএস বাংলাদেশ নীলফামারীর সমন্বয়কারী খ ম রাশেদুল আরেফিন বলেন, কৃষক পর্যায়ে এই ধানের আবাদ ছড়িয়ে দিতে বিনামূল্যে বি-৬৪ এর বীজ,সার,কীটনাশক বিতরণ করা হচ্ছে।
প্রচলিত জাতের চেয়ে উচ্চমাত্রায় জিংক ও প্রোটিন থাকায় ব্রি ধান ৬৪ চালের ভাত খেলে মা ও শিশুর অপুষ্টি রোধ করা সম্ভব হয়। এছাড়া ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া রোগ প্রতিরোধ করে দেয় ব্রি ধান-৬৪।
নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালের, আবাসিক সার্জন ডাঃ মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, গর্ভবতী ও শিশুর জন্য জিংক দরকার। জিংকের ঘাটতি হলে কোষের গঠন বাধাপ্রাপ্ত হয় বলে জানান তিনি।
ব্রি ধান ৬৪ নিয়ে এলাকার কৃষকদের নিয়ে মাঠ দিবস হয়েছে । অনুষ্ঠানে ব্রি ৬৪ ধানের গুণাগুণ ও এর গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করা হয়।