একাধিকবার বিতর্কিত হয়েছেন। নায়ক থেকে সাকিব আল হাসানকে খলনায়কের আসনে টেনে আনতে ছাড়েনি গুটিকয়েক,নাম সর্বস্ব ক্রিকেট সমর্থক। সব বিতর্ক ভুলে বারবার দলকে টেনে তুলেছেন এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। মাঠে পারফরম্যান্সেই দিয়েছেন সব সমালোচনার জবাব।
কিন্তু এই গুটিকয়েক সমালোচক কী কখন পিছু ছাড়বে সাকিবের? তার যোগ্যতা, পারফরম্যান্সের যথাযথ মর্যাদা কী আদৌ দিতে পারছে বাংলাদেশের সমর্থকরা?
এই বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন দেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক আল রাজি।
তিনি লিখেছেনঃ মহাপ্রতিভাধরদেরও না কি জন্ম দেয় তার সমকাল। সাকিব যেন এই সত্যকে মিথ্যা প্রমাণ কোরে ব্যক্তির অমিত প্রতিভা আর ক্ষমতার কথা বলে। এটিই কি আমার জীবনের সবচে বড় শ্লাঘা হয়ে থাকবে যে, আমি সাকিবের সমকালে বেঁচেছিলাম?
আমার এই দেশ, আমার এই সমাজ এতো অদ্ভুত যে, সে কোনো প্রতিভাকেই গ্রহণ করতে জানে না। একটা প্রতিভাকে কীভাবে লালন করতে হয়, কীভাবে তাকে বড় করে তুলতে হয় সে জ্ঞান বা শিক্ষা- কোনোটাই নাই আমাদের। একটা ব্যক্তি যখন সামাজিক-সম্পদ হয়ে ওঠে তাঁকে যে কতোখানি আদর করে, দারুণ সম্মান করে বেড়ে উঠতে দিতে হয়, তাঁর চরম বিকাশকে নিশ্চিত করতে কতো ত্যাগ স্বীকার করতে হয়- এসবের কিছুই জানি না আমরা। জানি না বলেই এই দেশের স্রষ্টাকে আমরা খুন করতে পারি, বিশ্বজয়ী মানুষকে টেনে রাস্তায় নামিয়ে আনতে পারি।
নিজের যোগ্যতা, সামর্থ্য, ক্ষমতার কথা ভুলে তুচ্ছাতিতুচ্ছ কারণে প্রতিভাবানদের মুণ্ডপাত করতে একটুও কাঁপে না আমাদের কণ্ঠ বা হাত। যত বড় প্রতিভা, সম্মিলিতভাবে ততো কঠিন কোরে তুলি আমরা সেই প্রতিভাবানের জীবন। এমন এক বৈরি পরিবেশে জন্ম নিয়েছেন আমাদের সাকিব আল হাসান! বিস্ময়কর এই প্রতিভাকে অভিবাদন।