যথাসময়ে সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, কে এলো না এলো তার জন্য নির্বাচন বন্ধ থাকবে না। রোববার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন কী? এর মাধ্যমে কী আমরা অনবরত জানাজা পড়বো?
মতিয়া চৌধুরী বলেন, বেগম জিয়া স্বাভাবিক ও সুস্থ রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন না। তিনি বার বার দেশে অস্বাভাবিক অবস্থার সৃষ্টি করে সুবিধা নিতে চান। এবার দেশের জনগণ বেগম জিয়ার এ ধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সূচিত উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবে। এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে জঙ্গিমুক্ত শান্তির বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে।
তিনি বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহ্বার জানান।
গত ৯ জানুয়ারি চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করলে হুইপ মো. শাহাব উদ্দিন তা সমর্থন করেন।
গত ৭ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদের ১৯তম ও বছরের প্রথম অধিবেশনের শুরুর দিন সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ সংসদে এ ভাষণ দেন।
রাষ্ট্রপতির ভাষণে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর রোববার ১৪তম দিনে কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, সরকারি দলের মাহফুজুর রহমান, বেগম সাহারা খাতুন, বেগম সিমিন হোসেন (রিমি) ও বেগম রিফাত আমিন আলোচনায় অংশ নেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী আরো বলেন, হাওরে বন্যার পর দেশব্যাপী প্রলয়ংকরী বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে না উঠতে পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারের সৃষ্ট দুর্যোগ সামাল দিচ্ছে বাংলাদেশ। মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত ১০ লক্ষাধিক লোককে নিজস্ব অর্থায়নে এখন লালন পালন করছে সরকার। এদের জন্য বিদেশী সাহায্য অত্যন্ত অপ্রতুল। আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে মমত্ববোধ থেকে তাদের আশ্রয় দেয়ার ব্যবস্থা করেন।
তিনি বলেন, একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও প্রতিবেশি দেশের সৃষ্ট দুর্যোগ সৃষ্টির পরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে দেশ বিরামহীনভাবে অর্থনৈতিক সাফল্য অর্জন করে এগিয়ে যাচ্ছে।