রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ঢাকা-ডেমরা-নারায়ণগঞ্জ (ডিএনডি) বাঁধ সংস্কারে ৬০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি সম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বিডব্লিউডিবি) সম্মেলন কক্ষে গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) প্রকল্পের ‘সেচ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন : ফিসিবিলিটি স্টাডি রিপোর্ট’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন পানি সম্পদ মন্ত্রী।
সারফেস ওয়াটার ব্যবহারের মাধ্যমে সেচ সংক্রান্ত প্রকল্প গ্রহণের পরিকল্পনাও সরকারের রয়েছে বলে তিনি জানান। প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের অংশ গ্রহণ ছাড়া কোন প্রকল্পই টেকসই হবে না।
পানি উন্নয়ন বোর্ড আয়োজিত এ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বীর প্রতীক ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মো. মাহফুজুর রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
কর্মশালার শুরুতেই পাওয়ার পয়েন্টে জিকে প্রকল্পের সেচ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন প্রকল্প সংক্রান্ত ফিসিবিলিটি স্টাডি রিপোর্ট উপস্থাপন করা হয়।
রিপোর্টে বলা হয়, ‘এ প্রকল্পের আধুনিকায়নে সেচের মাধ্যমে যেসব ফসল চাষাবাদ করা হয়, সে সব ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং টেকসই হবে।
জিকে সেচ প্রকল্পের আধুনিকায়নে প্রস্তাবিত প্রকল্পে নতুন পাম্পিং স্টেশন স্থাপন ও সংযোজনের মাধ্যমে ৯৬ হাজার ৬শ’ হেক্টর জমির রবিশস্য সেচ সুবিধার আওতায় আসবে উল্লেখ করে রিপোর্টে বলা হয়, প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১ হাজার ৫শ’ ১ কোটি টাকা।
ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ আগামী তিন মাসের মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সকল কার্যালয়ে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু এবং ডিজিটালাইজেশন সম্পন্ন করার জন্য বিডব্লিউডিবি’র মহাপরিচালক’কে নির্দেশ দেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে কম জমিতে অধিক ফসল উৎপাদনের প্রকল্প গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেন।