রাজধানীর ভাষানটেক এলাকায় র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নরসিংদীর শীর্ষ সন্ত্রাসী শফিকুল ইসলাম শফিক (৩৫) নিহত হয়েছেন।
এ সময় প্রদীপ চন্দ্র (৩৫) ও ফারুক হোসেন (৩২) নামে আরো দুইজনকে আটক করা হয়েছে। গোলাগুলির সময় র্যাবের কনস্টেবল নূরু মিয়া আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দিবাগত রাতে র্যাব-১১ এর সদস্যরা ভাষানটেকের একটি বাড়িতে তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী শফিকুলকে গ্রেপ্তার করতে গেলে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-১১ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল শমসের চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, নরসিংদীর তালিকাভুক্ত এক নম্বর সন্ত্রাসী শফিকুল ৩ টি হত্যা মামলা, ৪ টি অস্ত্র মামলাসহ অন্তত এক ডজন মামলার পলাতক আসামী। তাকে আমরা দীর্ঘদিন ধরেই খুঁজছিলাম। তার একটি অস্ত্র মামলার তদন্ত করতে গেলে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শফিকুলের অবস্থান আমরা জানতে পারি। সে মোতাবেক মঙ্গলবার রাত ১২ টার দিকে ভাষানটেকের একটি বাসায় আমাদের একটি আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে।
তিনি বলেন, পাঁচতলা ভবনটি তল্লাশি করে র্যাব সদস্যরা ছাদে পৌঁছালে সেখানকার চিলেকোঠার একটি কক্ষ থেকে র্যাবকে লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি ছুঁড়তে থাকে। এ সময় র্যাব সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালালে শফিকুল গুলিবিদ্ধ হয়।
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শফিকুলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ১ টা ২২ মিনিটে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গোলাগুলিতে নূরু মিয়া নামে র্যাবের এক কনস্টেবল আহত হন। সন্ত্রাসীদের গুলি নুরু মিয়ার বুলেটপ্রুভ ভেস্টে লাগে। তিনি বুকে মারাত্মকভাবে ব্যথা পেয়েছেন।
এরপর ঘটনাস্থল থেকে প্রদীপ ও ফারুক নামে দুইজনকে আটক করা হয়। এছাড়া, তিনটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ অন্তত ৬ রাউন্ড গুলি ও অসংখ্য গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।