চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ম্যাচ অফিসিয়ালদের ‘ভুল বার্তায়’ ওলট-পালট চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম থেকে: ম্যাচের তখন ৫৫ মিনিট। একজন ম্যাচ অফিসিয়ালের কাছ থেকে বার্তা পেলেন চট্টগ্রাম আবাহনী কোচ মারুফুল হক, তাতে বলা মোহনবাগানের কাছে হারলেই গ্রুপপর্ব থেকে বাদ হয়ে যাবে তার দল। ধীরেসুস্থে খেলতে থাকা দলটির ডাগআউট তখন হঠাতই হয়ে উঠল অশান্ত। পাঁচ মিনিট বাদেই এক গোল হজম করে শেষে হারল ম্যাচও!

এমন ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ টুর্নামেন্টের গ্রুপ ‘এ’র শেষ ম্যাচে। মাঠে নামার আগে মোটামুটি নিশ্চিত ছিলেন মারুফুল যে, মোহনবাগানের কাছে খুব বড় ব্যবধানে (অন্তত ৪ গোল) না হারলে সেমিতে যাওয়া কিংবা তার দলের গ্রুপ সেরা হওয়া কেউ আটকাতে পারবে না। সেজন্য আগের দুই ম্যাচের নায়ক অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াসহ মোট ছয় পরিবর্তন এনে মোহনবাগানের বিপক্ষে দল সাজিয়েছিলেন তিনি।

দ্বিতীয়ার্ধের ৫৫ মিনিটের আগপর্যন্ত সবকিছু ঠিকই চলছিল। এমন সময় মারুফুলের কাছে এল সেই বার্তা। বার্তার মানে বোঝার পরই ডাগআউটে লেগে গেল তুমুল হট্টগোল। ধীর-স্থির ভাবে খেলতে থাকা চট্টগ্রাম আবাহনী অশান্ত হয়ে পথ হারায়, হজম করে বসে গোল। মারুফুলের চোখে এক ভুল বার্তায় সর্বনাশ তার দলের।

‘কোনো একজন ম্যাচ অফিসিয়ালের কাছ থেকে এই বার্তা এসেছে। এর কোনো দরকার ছিল না। এরপরই আমাদের খেলোয়াড়রা বিভ্রান্ত হয়ে পড়ল। পাঁচ মিনিটের মধ্যে আমরা গোলও হজম করলাম।’

হার বাঁচাতে যাদের বিশ্রামে রেখেছিলেন মারুফুল মাঠে নামালেন তাদেরই। একে একে নামলেন চিনেদু ম্যাথিউ, জামাল ভূঁইয়া, আরিফুল ইসলামরা। তারপরও হার এড়ানো যায়নি। চ. আবাহনী হেরেছে ১-০ গোলে।

অবশ্য হেরে মোটেও কোনো ক্ষতি হয়নি চট্টগ্রাম আবাহনীর। বরং গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে হয়েছে গ্রুপ চ্যাম্পিয়নই। কিন্তু আরও একবার প্রশ্নবিদ্ধ থেকে গেল টুর্নামেন্টের রেফারিং। ঠিক আগের দিনই ‘বর্ণবৈষম্যের’ অভিযোগ উঠেছিল শ্রীলঙ্কান রেফারি লাকমল ভিরাকোড্ডির দিকে। পরের দিন ঘটল এমন অদ্ভুত কাণ্ড!