চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

‘মান্টোস্তান’ দেখতে চায় মান্টোর পরিবার

ভারত এসে ‘মান্টোস্তান’ ছবিটি দেখতে চান প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও চলচ্চিত্রকার সাদাত হাসান মান্টোর পরিবার। মান্টোর জন্ম পাঞ্জাবের লুধিয়ানাতে হলেও দেশভাগের সময় তারা পাকিস্তান চলে যান। দেশভাগের সময় মান্টোর লেখা ‘খোল দো’, ‘ঠান্ডা গোস্ত’, ‘অ্যাসাইনমেন্ট’ আর ‘আখরি স্যালুট’ গল্প নিয়ে এই ছবির কাহিনী। ৫ মে ভারতে মুক্তি পাচ্ছে ডার্ক স্যাটায়ার ধর্মী ছবি ‘মান্টোস্তান’। মান্টোর পরিবার ছবিটি পাকিস্তানে প্রদর্শনের জন্য চেষ্টা করছেন। আর তারা ভারতে এসে ছবিটি দেখতে চান। পরিচালক রাহাত কাজমী বলেন, ‘মান্টোর পরিবারকে যেন ভারতে এসে ছবিটি দেখার অনুমতি দেওয়া হয়, আমরা এ ব্যাপারে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।’

‘মান্টোস্তান’ ছবির ট্রেলার দেখেছেন সাদাত হাসান মান্টোর মেয়ে নুসরাত। তিনি খুব পছন্দ করেছেন। আর ছবিটি তৈরির ব্যাপারে তিনি গোড়া থেকেই রাহাত কাজমীকে সব ধরনের সহযোগিতা করেছেন।

গত বছর কান উৎ​সবের উদ্বোধনী ছবি ছিল ‘মান্টোস্তান’। এরপর সানফ্রান্সিস্কো, মেলবোর্ন, লন্ডন এবং এশিয়ার বিভিন চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হয়েছে ‘মান্টোস্তান’। পেয়েছে অসংখ্য পুরস্কার।

ছবি তৈরির অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে রাহাত কাজমী বলেন, ‘ছবিটি করতে গিয়ে আমরা হাজারো বিপদের মুখে পড়েছি। কিন্তু পিছু হটিনি। ছবিটি তৈরির ব্যাপারে মান্টোর মেয়েকে পাশে পেয়েছি। তিনি আমাদের নানা ভাবে সহযোগিতা করেছেন।’

এদিকে সম্প্রতি সাদাত হাসান মান্টোকে নিয়ে গৌতম রায় লিখেছেন, ‘সাদাত হাসান মান্টোকে উপমহাদেশের দাঙ্গা ও দেশভাগের শ্রেষ্ঠ কথাকার বললে এত দিনে মনে হয় কেউ আর আপত্তি করবে না। দেশভাগের যন্ত্রণা, ছিন্নমূল মানুষের হাহাকার, দাঙ্গার আতঙ্ক, সাম্প্রদায়িকতার বিষাক্ত বিদ্বেষ এত নিপুণ দরদে আর কে-ই বা চিত্রিত করেছেন? দুর্ভাগ্য আমাদের, মান্টোর অধিকাংশ রচনাই উর্দুতে, আর সেকুলার ভারত শত্রুরাষ্ট্র পাকিস্তানের এই জাতীয় ভাষার চর্চাকে সর্বতোভাবে নিরুৎসাহিত করেছে।’ ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস।

‘মান্টোস্তান’ ছবির ট্রেলার :