স্পেন-রাশিয়া ম্যাচের অ্যাকশন রি-প্লে হয়েছে ক্রোয়েশিয়া-ডেনমার্ক ম্যাচেও। তবে পার্থক্য, স্পেনের বিদায় হলেও অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে ক্রোয়েটরা। কিন্তু কে ভেবেছিল, যে ম্যাচে ৫৮ সেকেন্ডেই গোল হয়, সেই ম্যাচ গড়াবে পেনাল্টি শুটআউটে! তবে এটাই ফুটবল।
ম্যাচের শেষমুহূর্ত পর্যন্ত উত্তেজনা জিইয়ে রেখে ২০ বছর পর বিশ্বকাপের শেষ আটে পৌঁছেছে ক্রোয়েশিয়া। এমন উত্তেজনা আর ইতিহাসের ম্যাচে হাজার হাজার সমর্থকের সঙ্গে মাঠে সাক্ষী ছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্টও। কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েটদের প্রতিপক্ষ স্প্যানিশ টিকিটাকা থামিয়ে দেয়া স্বাগতিক রাশিয়া।
সম্প্রতি অন্য একটি কারণে সংবাদের শিরোনাম হয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট কোলিন্ডা গ্র্যাবার-কিটারোভিচ। সমুদ্র সৈকতে তার বিকিনি পরা কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এই মুহূর্তে তাকে বিশ্বের সবচেয়ে ‘আবেদনময়ী’ প্রেসিডেন্ট হিসেবেও আখ্যায়িত করেছেন অনেকে।
দল নকআউটপর্বে ওঠার পর খেলোয়াড়দের উৎসাহ দিতে খেলা দেখার সিদ্ধান্ত নেন। রোববার ম্যাচ শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগেই ব্যক্তিগত বিমানে নিজের বহর নিয়ে রাশিয়ায় পৌঁছান কোলিন্ডা। বিমানে তার পরনে ছিল জাতীয় দলের জার্সি। বিমানে অন্যদের সঙ্গে মজা করতে করতেই রাশিয়ায় পৌঁছান। পরে মাঠেও ক্রোয়েশিয়া জাতীয় দলের জার্সি গায়ে দিয়ে খেলা দেখেন।
গ্যালারিতে বসে মাঠে মদ্রিচ-রাকিটিচদের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উৎসাহ দিয়ে যান কোলিন্ডা। এসময় অন্যদের সঙ্গে ছবি ও সেলফি তোলেন তিনি। ম্যাচ শেষে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠায় ড্রেসিংরুমে গিয়ে কোচ ও পুরো দলকে অভিনন্দন জানান প্রেসিডেন্ট।
২০ বছর আগে ১৯৯৮ বিশ্বকাপে ডেভিড সুকরের ক্রোয়েশিয়া বিশ্বের তৃতীয় সেরা দলের খেতাব জিতে নিয়েছিল। অধিনায়ক মদ্রিচের বয়স তখন মাত্র ১২। প্রথমবার বিশ্বকাপে অংশ নেয়া ক্রোটদের সেই উত্থান যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটাতে ফুটবলের জোয়ার এনে দিয়েছিল। যার ফসল মদ্রিচ, রাকিটিচ, মানজুকিচরা। তাদের আরও এগিয়ে নিতে উৎসাহ যুগিয়ে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট।