চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

পরিসংখ্যানে যা কিছু আলোচিত

পর্দা উঠেছিল ১৪ জুন। ১৫ জুলাই শেষ বাঁশি। এই ৩২ দিনে কী এক জাদুতেই না বুঁদ হয়ে রইল পুরোবিশ্ব। কত অঘটন, কত হাসিকান্নার সাক্ষী হয়ে থাকল রাশিয়া। উপহার দিল স্মরণকালের সেরা এক বিশ্বকাপ।

প্রথম রাউন্ড থেকে শুরু করে ফাইনাল। এক ফ্রান্স-ডেনমার্ক ম্যাচটিকে বাদ দিলে গোলহীনভাবে শেষ হয়নি আর কোনো ম্যাচই। টানটান উত্তেজনা ছিল প্রায় প্রতি ম্যাচেই। কী হয়েছে এই ৬৪ ম্যাচে? পরিসংখ্যান-রেকর্ড আর কী আলোচিত দেখে নেয়া যাক–

খেরোখাতা
গ্রুপপর্বে সর্বোচ্চ পয়েন্ট- ৯। উরুগুয়ে, বেলজিয়াম, ক্রোয়েশিয়া।

সর্বোচ্চ গোলদাতা– হ্যারি কেন (ইংল্যান্ড), গোল সংখ্যা ৬।

মোট গোল– ১৬৯টি।

ম্যাচপ্রতি গোল– ২.৬টি।

সবচেয়ে বেশি গোল দিয়েছে– বেলজিয়াম, ১৬টি।

সবচেয়ে কম গোল দিয়েছে– পানামা, ১টি।

সবচেয়ে বেশি গোল হজম করা দল- পানামা, ১১টি।

সবচেয়ে কম গোল হজম করা দল- ডেনমার্ক, ইরান ও পেরু। যদিও ইরান ও পেরু গ্রুপপর্ব থেকেই ছিটকে গেছে। ডেনমার্ক বাদ পড়েছে দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে।

পেনাল্টি থেকে সবচেয়ে বেশি গোল- ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের, ৩টি করে।

গোলমুখে সবচেয়ে বেশি আক্রমণ- নেইমারের (ব্রাজিল), ২৭বার।

অন টার্গেটে সবচেয়ে বেশি শট- নেইমারের, ১৩টি।

সবচেয়ে বেশি আক্রমণ– ক্রোয়েশিয়ার, ৩৫২বার।

কোনো এক ম্যাচে সর্বোচ্চ গোল- ৭টি। বেলজিয়াম-তিউনিসিয়া (গ্রুপপর্বে) এবং আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স (নক আউটে)।

কোনো এক ম্যাচে সর্বোচ্চসংখ্যক আক্রমণ– ৩১, বেলজিয়াম-তিউনিসিয়া।

সবচেয়ে বেশি দৌড়েছেন– ইভান পেরিসিচ। ক্রোয়েট ফরোয়ার্ড দৌড়েছেন মোট ৭২ কিলোমিটার।

মোট পাসের সংখ্যা– ৪৯,৬৫১টি। ম্যাচ প্রতি যা ৭৭৫.৮টি।

সবচেয়ে বেশি পাস- ইংল্যান্ডের। মোট ৩,৩৩৬টি।

সবচেয়ে বেশি সফল পাস দিয়েছেন- সার্জিও রামোস, ৪৮৫টি।

সবচেয়ে পাস দেখেছে– স্পেন-রাশিয়া ম্যাচ, ১২৩৫টি।

রক্ষণে সবচেয়ে সফল দল– ক্রোয়েশিয়া। মোট ৩০১টি ট্যাকল ও সেভ করেছে দলটি।

প্রতিপক্ষকে সবচেয়ে বেশি গোল বঞ্চিত করেছেন– বেলজিয়ান গোলরক্ষক থিবো কোর্তয়া, ২৭টি।

মোট হলুদ কার্ড– ২১৯টি। ম্যাচ প্রতি যা ৩.৫টি।

মোট লাল কার্ড– ৪টি। ম্যাচ প্রতি গড়ে ০.০৬টি।

সবচেয়ে কার্ড দেখা দল- ক্রোয়েশিয়া, ১৫টি।

সবচেয়ে কম কার্ড দেখা দল– সৌদি আরব, মাত্র ১টি।

সবচেয়ে বেশি ফাউল করেছে- ক্রোয়েশিয়া, ১১৪টি।

সবচেয়ে বেশি ফাউলের শিকার- নেইমার, ২৩বার।

যা রেকর্ড-
আত্মঘাতী গোলের রেকর্ড- ১২বার।

বিশ্বকাপের সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড়- এসাম এল-হাদারি। মিশর, ৪৫ বছর ১৬১ দিনে বিশ্বকাপে নামেন।

আন্তর্জাতিক ম্যাচে ইউরোপিয়ানদের মধ্যে সর্বোচ্চ গোল- ৮৫টি, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (পর্তুগাল)।

বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি বয়সে হ্যাটট্রিক- ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, ৩৩ বছর বয়সে!

বিশ্বকাপে টানা গোলের ম্যাচ- প্রথম ৩৬ ম্যাচের প্রতিটিতে গোল হয়েছে।

ষষ্ঠ দল হিসেবে একাধিকবার বিশ্বকাপ জেতার রেকর্ড গড়ল ফ্রান্স। সর্বোচ্চ ব্রাজিল (৫বার)।

বিশ্বকাপ ফাইনালে গোল করে কাইলিয়ান এমবাপে (১৯ বছর ২০৭ দিন) পেলের পর দ্বিতীয় খেলোয়াড় হলেন, যিনি ২০ বছরের কম বয়সে ফাইনালে গোল করলেন। পেলে করেছিলেন ১৯৫৮ বিশ্বকাপে (১৭ বছর ২৪৯ দিন বয়সে)।

ফাইনালে নিজেদের জালে গোল করা প্রথম ফুটবলার ক্রোয়েশিয়ার মারিও মানজুকিচ।

কোচ ও অধিনায়কের ভূমিকায় বিশ্বকাপ জেতা মাত্র দ্বিতীয়, আর কোচ ও খেলোয়াড়ের ভূমিকায় বিশ্বকাপ জেতা তৃতীয় ব্যক্তি হলেন দিদিয়ের দেশম।

তৃতীয় সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে বিশ্বকাপ জিতলেন এমবাপে।

ফাইনাল পর্যন্ত ১৬৯ গোলের ৭১টির উৎসই সেট পিস। যা রেকর্ড। এবার ইংল্যান্ড সবচেয়ে বেশি গোল পেয়েছে সেট পিস থেকে। তাদের ১২ গোলের ৯টিরই উৎস ছিল।

ম্যাচের শেষ পাঁচ মিনিটে মোট গোল সংখ্যা ২৯টি। যার ১৯টি যোগ করা সময়ের খেলায়। এটিও রেকর্ড।

রাশিয়ায় টাইব্রেকারে ফল এসেছে চারটি ম্যাচে। যেটি রেকর্ড। আগেও তিন আসরে চারটি করে ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়িয়েছিল। ১৯৯০, ২০০৬ ও ২০১৪ বিশ্বকাপে পেনাল্টি শুটআউটে গড়িয়েছিল চার ম্যাচ।

ক্রোয়েশিয়া ছুঁয়েছে টাইব্রেক পরীক্ষায় জয়ের রেকর্ডও। এক আসরে দুটি টাইব্রেক পরীক্ষায় জয়ের রেকর্ড ছুঁয়ে আর্জেন্টিনার (১৯৯০ বিশ্বকাপ) পাশে বসেছে ক্রোয়েটরা।

আরও যা-
একই মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ও বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা দ্বিতীয় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ খেলোয়াড় দেয়ান লভরেন।

১৯৯৮ বিশ্বকাপের পর প্রথমবার ফাইনালে কোনো দল কমপক্ষে ৩টি গোল দিল। আগের কীর্তিটাও ফ্রান্সেরই।

১৯৭০ বিশ্বকাপের ফাইনালে ব্রাজিল ৪-১ ব্যবধানে ইতালিকে হারায়, তারপর ফাইনালে ৪ গোল করা প্রথম দল ফ্রান্স।

১৯৭৪ বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের পর ক্রোয়েশিয়া প্রথম দল যারা প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে হার দেখল।

বিশ্বকাপের ফাইনালে একটি গোল করা ও প্রতিপক্ষকে একটি পেনাল্টি দেয়া দ্বিতীয় খেলোয়াড়টির নাম ইভান পেরিসিচ (ক্রোয়েশিয়া)

বিশ্বকাপের ইতিহাসে একই ম্যাচে দলের হয়ে একটি গোল ও একটি আত্মঘাতী গোল করা দ্বিতীয় খেলোয়াড় হলেন মানজুকিচ। ফাইনালে নিজেদের জালে বল জড়ানো একমাত্র খেলোয়াড়ও তিনিই।

বিশ্বকাপ ইতিহাসের ২৫০০তম গোলটি হয়েছে এই আসরে।

বিশ্বকাপ ইতিহাসে আত্মঘাতী গোল ৫০ ছুঁয়েছে এই আসরে।

হয়েছে বিশ্বকাপের ৫২তম হ্যাটট্রিক- হ্যারি কেন, পানামার বিপক্ষে।