পুরো ফিট না থাকা সত্ত্বেও কন্ডিশনের বিবেচনায় তাকে দলে নিয়েছিলেন নির্বাচকরা। ইনজুরি থাকার পরও ইয়াসিরকে দলে রাখার ব্যাখ্যায় ইনজামাম-উল-হক বলেছিলেন, আরব আমিরাতের কন্ডিশনে এই স্পিনার আদর্শ হিসেবে প্রমাণিত। গত কয়েক বছর ধরেই ইয়াসির দেশের সেরা বোলার।
প্রধান নির্বাচকের আস্থার প্রতিদান দিয়ে প্রথম দিনেই মরুর বুকে ফুল ফোটালেন ইয়াসিরও। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আবুধাবি টেস্টে শুরুতেই নতুন এক মাইলফলক স্পর্শ করেন ইয়াসির। টেস্ট ইতিহাসের দ্বিতীয় দ্রুততম দেড়শ উইকেট পাওয়া বোলার এখন তিনি।
মাত্র ২৭ টেস্টে মাইলফলক ছুঁলেন পাকিস্তানি লেগস্পিনার। তার চেয়ে কম টেস্টে দেড়শ উইকেট নিতে পেরেছেন কেবল সিডনি বার্নস। যে রেকর্ড বার্নসের কাছে আছে ১০৪ বছর ধরে। ১৯১৩ সালে গড়া রেকর্ড ছুঁতে সাবেক ইংলিশ পেসারের লেগেছিল ২৪ টেস্ট।
দুই নম্বরে ইয়াসির অবশ্য একা নন। দেড়শ ছুঁতে ২৭ টেস্ট লেগেছিল তার স্বদেশী ওয়াকার ইউনিসেরও। ধারাভাষ্য কক্ষে বসে নিজের মাইলফলক ছোঁয়ার সাক্ষী ছিলেন ওয়াকার।
দুই পাকিস্তানির পরই আছেন ক্ল্যারি গ্রিমেট। নিউজিল্যান্ডের অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি লেগস্পিনারের লেগেছিল ২৮ টেস্ট।
২৯ টেস্টে দেড়শর ঠিকানায় পৌঁছেছেন ৫ জন। তারা- সাউথ আফ্রিকার অফস্পিনার হিউ টেফিল্ড ও ডেল স্টেইন, ইংল্যান্ডের ইয়ান বোথাম, পাকিস্তানের সাঈদ আজমল এবং ভারতের রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
ইয়াসিরের রেকর্ড ছোঁয়ার দিনে শুরুতে বেকায়দায় পড়েছিল শ্রীলঙ্কা। ৬১ রান তুলতেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। পরে দিমুথ করুনারত্নের হাফসেঞ্চুরি ও দিনেশ চান্দিমালের সাবধানী ব্যাটিংয়ে শতরানের গণ্ডি পেরিয়েছে লঙ্কানরা।