আজ অমর চিত্রশিল্পী ভিনসেন্ট ভ্যানগগের ১২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। খেয়ালি এই শিল্পী ভালোবাসতেন ফুল। তাঁর ভালোবাসার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ফুল বাগান নেদারল্যান্ডস-এর ‘কুকেনহফ’ ২০১৫ সালকে ‘ভ্যানগগ ইয়ার’ ঘোষণা করে।
১২৫ বছর ধরে অবিরত অনুপ্রেরণা দিয়ে চলেছেন যে শিল্পী, তারই সম্মানে এ বছর কুকেনহফের এই আয়োজন। মূল প্রতিপাদ্য, ‘অনুপ্রেরণার ১২৫ বছর’।
সেলফি বাগানের ফুলে ফুলে ছিলো ভ্যানগগ।
বাগানে হাজার হাজার টিউলিপ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ২৫০ বর্গমিটারের ভ্যানগগের প্রতিচ্ছবি। শর্ট টিউলিপ আর মাসকারি দিয়ে ১২০ শ্রমঘন্টায় তৈরি করা হয় চিত্রশীল্পের জগতে এই বিস্ময়কর প্রতিভাধারীর ফ্লাওয়ার পোট্রেট।
কুকেনহফে আসা এক দর্শনার্থি ভ্যানগগের চিত্রকর্মের প্রশংসা করে বলেন, ভ্যানগগ আমাদের জীবনেরই অংশ। ব্যক্তিগত জীবনে নানা পাগলামি ছিলো তার। কিন্তু দেখুন, তার কাজের ব্যাপ্তি কতটা। পুরো বিশ্ব থেকে মানুষ কুকেনহফে আসলো ভ্যানগগের বিখ্যাত ফুলের সেলফি দেখতে।
অপর একজন আমেরিকান দর্শনার্থী ভ্যানগগের ফুলের প্রতি অনুরাগের কথা উল্লেখ করে বলেন, ফুল আমার খুব প্রিয়। ফুল ভ্যানগগেরও খুব প্রিয় ছিলো। এই মহান শিল্পীকে প্রকৃতির মাঝে খুঁজে পেতেই কুকেনহফে আসা।
কুকেনহফের অর্গানিক নাসাউ’র রিপ্রোডাকশন গ্যালারিতেও ছিলো ভ্যানগগের মুখচ্ছবি। পাশাপাশি গ্রামীণ জীবন, কৃষি, মানুষ আর সূর্যমুখী ফুলের ছবিও সেখানে স্থানলাভ করেছে।
ভ্যানগগের লেখা অমূল্য ডায়েরির পাতাও স্থান পায় গ্যালারিতে।
১৮৯০ সালে আঁকা বিখ্যাত ‘আমন্ড ব্লোজম’ ছবিটি দেখার সৌভাগ্য হয়েছে অনেকের।
নেদারল্যান্ডসের কুকেনহফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বার্ট সিমেরিংক বলেন, ৩২ হেক্টর জমির এই বিশাল ফুলরাজ্যে প্রতিবছর দেশ-বিদেশ থেকে হাজারো পর্যটক আসে। বছরে মাত্র আট সপ্তাহ দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকে এই স্প্রিং গার্ডেন। তবে এবার ভিড়টা অনেক বেশি ছিলো, কারণ ভ্যানগগ। দশ লাখ দর্শনার্থী এসেছিলো এবার।
একাগ্র শিল্পানুরাগী, প্রকৃতিপ্রেমীদের ভালোলাগার জায়গা এই কুকেনহফের ফুলরাজ্য। ফুলের রাজ্যে ভ্যান গঘ-কে স্থান দিয়ে তার ১২৫ তম মৃত্যু দিবসটি আরো বেশি স্মরণীয় করে রাখলো কুকেনহফ।