বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় কক্সবাজারের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে সাগরের জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে উপকূলের নিম্নাঞ্চল। নিম্নচাপের প্রভাবে চারটি সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সর্তকতা রয়েছে।
বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমলেও উজান থেকে পাহাড়ি ঢল নেমে আসায় পানি বাড়ছে নিচু এলাকায়। শতাধিক গ্রামের ২ লাখেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ায় জন দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। আশ্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি বিভিন্ন সড়ক ও উঁচু স্থানে ঠাঁই নিয়েছেন অনেক মানুষ।
স্থানীয় একজন জানান, আমাদের পুরো পাড়ার চারশো পরিবার এখন পানিবন্দী। কেউ ত্রাণ সহযোগিতা নিয়ে আসে নি।
এছাড়াও নানা দুর্ভোগের কথা জানিয়ে স্থানীয়রা বলেন, রান্না করতে পারছেন না। বাড়ি ঘর ভেঙ্গে গেছে। সরকারের পক্ষ থেকে বাড়িঘর নির্মাণের সহযোগিতা পাওয়ার প্রত্যাশা জানান তারা।
পূর্ণিমার তিথিতে জোয়ারের পানিতে উপকূলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
বন্যা কবলিত এলাকায় সরকারীভাবে দেড়শ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও তা এখনো পৌঁছেনি দুর্গতদের কাছে। সরকারি ত্রাণ আরো বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য।
কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে এই এলাকা দূযোর্গপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছি। আজ পর্যন্ত আমার এলাকায় সরকারি ত্রাণ পৌঁছায়নি।
নিম্নচাপের কারণে সাগর উত্তাল থাকায় কক্সবাজার, চট্টগ্রাম,মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সর্তকতা সংকেত বলবৎ রেখেছে আবহাওয়া অফিস।