সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে মূল খবরের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে অনেক ভুয়া খবর বা ফেইক নিউজ। সাম্প্রতিক সময়ে এসব থেকে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এ পরিস্থিতি থেকে সমাজকে বাঁচাতে হলে মূলধারার গণমাধ্যমগুলোকে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) ‘ঢাকা লিট ফেস্ট ২০১৭’-এর উদ্বোধনী দিনে ‘ফেক নিউজ’ শীর্ষক এক সেশনে এসব কথা বলেন বক্তারা।
এটিএন নিউজের বার্তা প্রধান প্রভাষ আমিনের সঞ্চালনায় এ সেশনে বক্তব্য রাখেন বাংলা ট্রিবিউনের সম্পাদক জুলফিকার রাসেল, অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট আরিফ জেবতিক, আইনজীবী রুমিন ফারহানা এবং ভারতীয় গবেষক ও কলামিস্ট গর্গ চট্টোপাধ্যায়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলা ট্রিবিউনের সম্পাদক জুলফিকার রাসেল বলেন, ফেইক নিউজ বা ভুয়া খবর নিয়ে আলোচনা করতে হলে প্রথমে বুঝতে হবে ফেইক নিউজ কি? ফেইক নিউজ হলো মূল তথ্যের সঙ্গে যার শিরোনামের মিল নাই বা সম্পূর্ণ মিথ্যা খবর। আবার অনেক সময় টুইস্ট করে, স্যাটায়ার করেও লেখা হয় যা বোঝা যায়না। এসব খবর পাঠককে বিভ্রান্ত করে। ফেইক নিউজ ছড়ানোর কারণে সমাজে বিভিন্ন ধরনের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট আরিফ জেবতিক বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য সারাবিশ্বে অন্তত ৩০টি সরকারকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যারা অনলাইন গণমাধ্যমের মাধ্যমে ফেইক নিউজ ছড়াচ্ছে। মূলধারার গণমাধ্যমকেও এর বিপক্ষে দাঁড়াতে হবে।
নিজেও রাজনৈতিকভাবে ফেইক নিউজের শিকার জানিয়ে আইনজীবী রুমিন ফারহানা বলেন, ফেইক নিউজ বা ভুয়া খবর প্রচার করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। চাইলে তার নামে ৫৭ ধারায় মামলা, ৫০০ ধারায় মানহানির মামলা করা যায়।
ভারতীয় গবেষক ও কলামিস্ট গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ফেইক নিউজের নেতিবাচক প্রভাব থেকে রেহাই পেতে এবং ফেইক নিউজকের বিপক্ষে কথা বলতে কেবল পাঠকের ওপর নির্ভর করা ঠিক নয়। সবচেয়ে বড় অবদান বা দায়িত্ব নিতে হবে মূলধারার গণমাধ্যমকে। মূলধারার গণমাধ্যম যদি এসব ফেইক নিউজের বিপক্ষে দাঁড়ায় এবং প্রতিরোধে কাজ করে তাহলে এর প্রভাব কমে যাবে।
এর আগে, সকালে সিরিয়ার কবি আদোনিস ‘ঢাকা লিট ফেস্ট ২০১৭’ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এসময় লিট ফেস্টের পরিচালক সাদাফ সায, আহসান আকবার ও কাজী আনিসসহ বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান উপস্থিত ছিলেন।