চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ভারতীয় পাঠ্যবইতে নারীকে অবমাননাকর অনুচ্ছেদ, তুমুল বিতর্ক

“মেয়েরা কুৎসিত বা শারীরিক প্রতিবন্ধী হলে তার বিয়ে দেওয়া কঠিন হয়ে যায়। এমন মেয়েদের বিয়ে করতে হলে অনেক ক্ষেত্রে পাত্রপক্ষ বেশি পণ দাবি করে বসে।” ভারতের মহারাষ্ট্রে স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে এমন বিতর্কিত অনুচ্ছেদ নিয়ে তুমুল সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

বিতর্কিত এই অনুচ্ছেদটি বই থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের একজন মন্ত্রী।

মেয়েরা ‘অসুন্দর’ হলে পণের দাবিও বাড়ে মন্তব্যের বইয়ের পৃষ্ঠাটি ছবি সামাজিক মাধ্যমের ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই বলছেন, পাঠ্যপুস্তকে এই ধরনের মন্তব্য ভারতীয় সমাজের কুপ্রথাগুলোর অবসানে মোটেও সাহায্য করবে না।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে বিয়ের সময় পণ লেনদেনের প্রথা শত শত বছর ধরে চলে আসছে। পণ হিসেবে মেয়েদের পরিবার পাত্রপক্ষকে নগদ, স্বর্ণালঙ্কার, দামী জামাকাপড় ইত্যাদি অনেক কিছু দিয়ে থাকে।

ভারতে পণ দেওয়া-নেওয়া আইন করে নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছে ১৯৬১ সালেই, তবে ভারতীয় সমাজে তা পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি।

যারা এই পণপ্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছেন, তাদের বক্তব্য পণপ্রথার শিকার বহু মহিলাকেই বাড়িতে সহিংসতার শিকার হতে হচ্ছে, এমন কী নির্মম অত্যাচারে অনেক সময় তারা মারাও যাচ্ছেন।