Live TV
রেডিও
কর্তারপুর করিডোরের উদ্বোধনী দিনে শিখ তীর্থযাত্রীরা বিনামাশুলে পাকিস্তানে প্রবেশাধিকার পাবে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
শুক্রবার এক টুইটে পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী জানান, ৯ নভেম্বর কর্তারপুর করিডোরের উদ্বোধনের দিনে ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের কাছ থেকে কোনো মাশুল নেওয়া হবে না। শিখ তীর্থযাত্রীদের পাকিস্তানে প্রবেশের জন্য কোনো পাসপোর্ট এবং নিবন্ধনও প্রয়োজন হবে না।
চ্যানেল আই’র সর্বশেষ খবর ও বিনোদন গুগল নিউজেতিনি লিখেছেন, ‘ভারত থেকে কর্তারপুরে শিখ তীর্থযাত্রীদের আসার জন্য আমি দুটি প্রয়োজনীয় শর্ত বাতিল করে দিয়েছি ১.তাদের পাসপোর্টের মতো কোনো বৈধ পরিচয়পত্রের প্রয়োজন হবে না ২. তাদের ১০ দিন আগে থেকে পাকিস্তান আসার জন্য নিবন্ধন বা রেজিস্ট্রেশন করতে হবে না। এছাড়াও উদ্বোধনের দিন এবং গুরুজির ৫৫০ তম জন্মদিনের দিন প্রবেশের জন্য কোনো ফি দিতে হবে না।
ভারতীয় ইংরেজি গণমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, আগামী ৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গুরুদাসপুরে এই করিডোরের উদ্বোধন করবেন এবং পাকিস্তানের প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান উন্মুক্ত ঘোষণা করবেন।
নতুন ওই করিডোরটি পাঞ্জাবের ডেরা বাবা নানক মাজারকে কর্তারপুরের দরবার সাহিবের সঙ্গে সংযুক্ত করবে, যা পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের নরওয়াল জেলায় অবস্থিত আন্তর্জাতিক সীমারেখা থেকে মাত্র চার কিলোমিটার দূরে। এখানে শিখ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা গুরু নানক দেব তার জীবনের শেষ ১৮ বছর কাটিয়েছেন বলে বিশ্বাস করা হয়।
এর আগে কর্তারপুর করিডোর দিয়ে পাকিস্তানে প্রবেশের জন্যে শিখ তীর্থযাত্রীদের ২০ ডলার করে মাশুল দিতে হবে বলে জানায় পাকিস্তান সরকার।
ভারতের পক্ষ থেকে এই ঘোষণার বিরুদ্ধে তীব্র আপত্তি জানানো হয়। এমনকি এই বিষয়টি নিয়ে মতবিরোধের কারণে মাজারে যেতে ইচ্ছুক তীর্থযাত্রীদের জন্য অনলাইন নিবন্ধন চালু করতেও দেরি করা হয়।
ইমরান খানের ঘোষণা ভারতীয় শিখ তীর্থযাত্রীদের জন্য একটি স্বস্তির খবর হয়ে এলো।