আগামী অর্থবছরের বাজেটে এককভাবে সর্বোচ্চ বরাদ্দ থাকছে বিদ্যুৎখাতে। উন্নয়ন বাজেটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সব মিলিয়ে বরাদ্দ ছাড়িয়ে যাবে প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকা। যদিও চলতি অর্থবছরে বিদ্যুতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উৎপাদনে আগাতে পারেনি জ্বালানি খাত। সফলতা এসেছে সৌর বিদ্যুতে, ভূমিকা রাখছে পরিবেশ উন্নয়নে।
বিদ্যুতের মোট উৎপাদন ক্ষমতা এখন ১১ হাজার ২০৩ মেগাওয়াট। তবে ক্ষমতার চেয়ে উৎপাদন প্রায় ৪ হাজার মেগাওয়াট কম যা গড়ে ৭৩০০ মেগাওয়াটের মতো। বিদ্যুৎ বিভাগের খাতায় লোডশেডিং শব্দটি না থাকলেও ঢাকার বাইরে বন্ধ হয়নি বিদ্যুতের যাওয়া-আসা।
২০২১ সালের মধ্যে ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য দফায় দফায় শুরু হয়েছে নতুন নতুন প্রকল্পের কাজ। তবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৫৩ শতাংশ কয়লা ব্যবহারের কথা বলা হলেও এখনো থেমে আছে ২.২৩ শতাংশে। ৬৩ শতাংশ গ্যাস এবং ২৯ শতাংশ জ্বালানি তেলে চলছে বিদ্যুৎখাত।
বিদ্যুৎখাতে আগামী অর্থবছরে এডিপিতে বরাদ্দ হয়েছে ১৫ হাজার ৪৮৫ কোটি টাকা। যা মোট এডিপির প্রায় ১৭ শতাংশ। এর বাইরেও ৪’শকোটি টাকা বরাদ্দ থাকছে স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা ও কর্পোরেশনগুলিতে।
জ্বালানি খাতে দেয়া হয়েছে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ আর স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা ও কর্পোরেশনে থাকছে আরো ১৫’শ ৭১ কোটি টাকা।
২০১৫-১৬ অর্থবছরে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা হবে ৩ হাজার ৮শ’ মিলিয়ন ঘনফুট। তাই বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানীর আনুসঙ্গিক প্রক্রিয়ার পাশাপাশি তেল গ্যাস অনুসন্ধানও জোরদার হচ্ছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি কমার ক্ষেত্রে সৌর বিদ্যুতের অগ্রগতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। গ্রাহকদের মধ্যে ৫ শতাংশের বেশী মানুষ এখন সৌর বিদ্যুতের আওতায়।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের আওতায় জীববৈচিত্র রক্ষা, পানি, বায়ু দুষণরোধ, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলাসহ বন ও পরিবেশের সার্বিক উন্নয়নে বিভিন্ন ইস্যু থাকলেও গত অর্থবছরে এখাতে বরাদ্দ কমিয়ে দেয়া হয়েছিল।
আগামী বাজেটে বরাদ্দ বাড়িয়ে পরিবেশ রক্ষায় গতি বাড়ানোর প্রত্যাশা পরিবেশবাদীসহ সংশ্লিষ্টদের।