বিদেশি কর্মীর ওপর থেকে নির্ভরতা কমাতে পরিকল্পনা গ্রহণ করছে সৌদি আরব। আর সেটি করা হবে, বিনিয়োগে নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও উচ্চ প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন সৌদি শ্রমিকদের নিয়োগের মাধ্যমে। বর্তমানে না থাকলেও বিদেশি কর্মীদের উপর করের বোঝা চাপাতে যাচ্ছে দেশটি।
বিদেশি নাগরিকদের আয় থেকে কোনো কর নেয় না সৌদি সরকার। তবে সোমবার সৌদি অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়, এমনটি সব সময় চলবে না।
সৌদি অর্থমন্ত্রী ইব্রাহিম আল-আসাফ বাজেট অধিবেশনে বলেছেন, বাছাইকৃত বিদেশি কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে। আর সৌদি কর্মীদের বিভিন্ন খাতের জন্য দক্ষ করে গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
বিদেশি কর্মীদের ওপর থেকে নির্ভরতা কমানোর পরিকল্পনাটি অত্যন্ত যৌক্তিক বলেও মন্তব্য করেন ইব্রাহিম। তিনি বলেন, রিয়াদের মেট্রো ও বড় পরিবহন প্রকল্পের সময় এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।
অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের অব্যাহত দরপতনের ফলে বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল রপ্তানিকারক দেশ সৌদি আরবে এ বছরের বাজেট ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তারা বলছে, বিশালাকায় বাজেট ঘাটতি মোকাবেলার জন্য জ্বালানি তেলসহ অন্যান্য নিয়মিত নাগরিক সেবার উপর থেকে ভর্তুকি প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।
সৌদি প্রেস এজেন্সির (এসপিএ) খবরে বলা হচ্ছে, কোনো কোনো পণ্যের ক্ষেত্রে পেট্রোলের দাম শতকরা ৫০ ভাগ পর্যন্ত বাড়বে। এছাড়া ডিজেল, বিদ্যুৎ এবং পানির দামও বাড়বে।
আরব নিউজের খবরে বলা হয়, বিশ্বে তেলের দামে ধস নামায় বাজেট ঘাটতি কমাতে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করছে সৌদি সরকার।
সোমবার সৌদি সরকার ৮৪ হাজার কোটি রিয়ালের বাজেট ঘোষণা দিয়েছে। এতে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫১ হাজার ৪০০ কোটি রিয়াল। আর বাজেট ঘাটতি ধরা হয়েছে ৩২ হাজার ৬০০ কোটি রিয়াল। এবার তেল বিক্রি থেকে ৭৩ শতাংশ আয় নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে ব্যক্তির আয়ের ওপর কর আরোপের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানান ইব্রাহিম। তিনি জানান, বহিরাগতদের আয়ের ওপরও কারারোপের কোনো পরিকল্পনা নেই।
সৌদি আরবে ১০ লাখ বিদেশি কর্মী কাজ করেন। এর মধ্যে ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও আফ্রিকার কয়েকটি দেশের নাগরিকই বেশি। আর যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা অন্য দেশগুলোর এক লাখ ২৫ হাজার কর্মী সৌদি আরবে কাজ করেন।