চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

বিকেলে ক্রিকেটারদের সঙ্গে বিসিবির বৈঠক

১১ দফা দাবি জানিয়ে ধর্মঘটে যাওয়া ক্রিকেটারদের সঙ্গে বুধবার বৈঠকে বসছে বিসিবি। বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, বিকেল ৫টার দিকে ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান তারা। আজই সংকটের সুরাহা হয়ে যাবে এমন আশাও প্রকাশ করেছেন তিনি।

মিরপুরে বিসিবি কার্যালয়ে নিজামউদ্দিন জানান, জাতীয় দলের সিনিয়র ক্রিকেটার তামিম ইকবালের সঙ্গে আলাপ হয়েছে বিসিবির এবং বৈঠক করতে সম্মত হয়েছেন ১১ দফা দাবিতে ক্রিকেট বর্জন করা ক্রিকেটাররা।

‘আমরা জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করি এবং তামিম ইকবালের সঙ্গে আমার কথা হয়। তাকে অনুরোধ করি বিষয়টা যতদ্রুত সম্ভব নিষ্পত্তি করার। আমরা তার কাছে বোর্ডের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেছি, আর্থিক যে ব্যাপারটা আছে সেটা সমাধান হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। সবাই একসঙ্গে বসলেই সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। তামিম জানিয়েছেন, সতীর্থদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুতই আমাদের জানাবেন।’

‘আমরা আশা করছি যেকোনো সময়ই তারা (খেলোয়াড়রা) আমাদের সঙ্গে বসার কথাটা জানাবেন। আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি, আজকে (বুধবার) যেকোনো একটা সময় সেটা হতে পারে। আরও নির্দিষ্ট করে বললে বিকেল পাঁচটায় আমরা প্রস্তুত আছি। আমাদের যেকোনো জায়গায় ডাকলে যাব বা সেটা বিসিবিতেও হতে পারে।’

খেলোয়াড়দের দাবিগুলো বোর্ড মেনে নিয়েছে কিনা বা এব্যাপারে বোর্ড নমনীয় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে নিজামউদ্দিন বলেন, ‘আর্থিক ব্যাপারগুলো একসঙ্গে বসে আলোচনা করেই সমাধান করা সম্ভব। বোর্ড প্রেসিডেন্ট তো বলেই দিয়েছেন, এই ব্যাপারগুলোতে তিনি নীতিগতভাবে সম্মত।’

বোর্ড-খেলোয়াড়দের এই জট খোলার ক্ষেত্রে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা কোনো মধ্যস্থতা করছেন কিনা এমন কথা সামনে আসলে বিসিবির প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘মাশরাফী জাতীয় ওয়ানডে দলের অধিনায়ক এবং একজন সংসদ সদস্য। তিনি তেমন কিছু করলে বা ভেবে থাকলে সেটাকে গুরুত্ব দেই।’

চলমান সংকটের কারণে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া জাতীয় লিগের সূচিতে এখনো পর্যন্ত কোনো পরিবর্তনের কথা ভাবা হয়নি বলেও জানান নিজামউদ্দিন।

সোমবার ১১ দফা দাবির কথা জানিয়ে ধর্মঘটের ডাক দেন বাংলাদেশ জাতীয় ও ঘরোয়া দলের ক্রিকেটাররা। তাদের দাবিতে বেতন বাড়ানোসহ প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর কথা রয়েছে। দাবি মানা না পর্যন্ত সব ধরনের ক্রিকেট কার্যক্রম থেকে দূরে থাকার আল্টিমেটামও দেন তারা।

এমন অবস্থায় মঙ্গলবার জরুরি বৈঠকে বসেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কর্মকর্তারা। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে ক্রিকেটারদের আচরণ ও ধর্মঘটে বিস্ময় প্রকাশ করেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন। তিনি আর্থিক কারণে আন্দোলনের যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেন না বলেও জানান। সঙ্গে আন্দোলনকে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করেন বোর্ড সভাপতি।