বিএনপি-ঐক্যফ্রন্টের গণশুনানিকে গণতামাশা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গণশুনানির বিচারপতি হিসেবে যখন ড. কামাল হোসেনের নাম আসে। এটা গণশুনানির নামে তামাশা ছাড়া কিছুই না।
বৃহস্পতিবার দুপুরের ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নির্বাচনী ট্রাইবুলানে বিএনপি-ঐক্যফ্রন্টের মামলা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন: বিএনপি অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে মামলা ও নালিশ ছাড়া কোনো পথ নেই। এগুলো করে তারা নেতাকর্মীদের সজাগ রাখে। তাদের এখন মামলা আর নালিশ সম্পদ। যখন পারবে না তখন কান্নাকাটি করবে। নির্বাচনী ট্রাইবুনালের মামলা হচ্ছে এতে অসুবিধা কোথায়। আমরা মামলা মোকাবেলা করবো বলে যোগ করেন কাদের।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কয়েকজন প্রার্থীর রদবদল প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন: তৃণমূলের অভিযোগ খতিয়ে দেখে তদন্ত করেই রদবদল করা হয়েছে। তবে এর সংখ্যা বেশি নয়, ৪-৫ টি। ‘
দেশ এখন পুলিশি রাষ্ট্র’ ১৪ দলের শরিকদল ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের এ বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ক্ষোভ-দুঃখ থেকে তিনি এ কথা বলতে পারেন। তবে তার এ বক্তব্যে ব্যাখা জানা নেই। যথাসময়ে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল হবে বলেও জানান দলের সাধারণ সম্পাদক।
অক্টোবরেই আওয়ামী লীগের কাউন্সিল হবে বলে এ সময় আবারও জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী মির্জা আজম, আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয় সম্পাদক সুজিত নন্দী, কার্যনির্বাহী সদস্য এসএম কামাল প্রমুখ।